হাইকোর্টের রায় কার্যকরের দাবি

ঢাবির অপরাজেয় বাংলায় একাই দাঁড়াবেন ড. সামিনা লুৎফা

ড. সামিনা লুৎফা
ড. সামিনা লুৎফা  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফাকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে এ নির্দেশনার দুই সপ্তাহে পার হলেও পদোন্নতির দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে নিজের দাবি আদায়ে একাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যের সামনে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। আজ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) তিনি এমনটাই জানিয়েছেন।

জানা যায়, গত ১৬ জানুয়ারি পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে ড. সামিনা লুৎফাকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে সামিনা লুৎফার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

দুই সপ্তাহ পার হলেও আদেশের কার্যকারিতা না দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ড. সামিনা লুৎফা। তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায় হওয়ার আজ ১৪তম দিন, মানে ২ সপ্তাহ। আগামীকাল থেকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অসহযোগ ঘোষণা করা ছাড়া আর কোনো পথ দেখছি না।

তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে আগামী ৭ দিন একটা করে পোস্ট করবো। আওয়ামী দুঃশাসনে আমার চাকরির ইতিহাস সেখানে উল্লেখ করবো। দাবি থাকবে একটাই, হাইকোর্টের রায় কার্যকর করুন। নাকি শেষ সাত দিন অপরাজেয় বাংলায় দাঁড়িয়ে যাব? পুরো জীবন অন্যের বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ালাম, আমার বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায় নিরসনে আমি একাই দাঁড়াবো।

এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে একটি অধ্যাপক পদের জন্য যখন বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়, সামিনা লুৎফা সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়ম মেনে আবেদন করেন। তবে আবেদনের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে কোনো ধরনের সহযোগিতা করেনি, তাকে কোনো তথ্য দেয়া হয়নি। এমনকি তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। অন্যদিকে বিভাগের উন্নয়ন ও সমন্বয় সংক্রান্ত যে কো–অর্ডিনেশন এবং ডেভেলপমেন্ট কমিটি আছে, সেখান থেকে তাকে জানানো হয় যে, তার সব যোগ্যতা আছে।

পরবর্তীতে রাজনৈতিক মতাদর্শ ও বিভিন্ন অ্যাক্টিভিজমের কারণে তাকে বাদ দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করেন ড. সামিনা লুৎফা। সিলেকশন বোর্ড তার জন্য সুপারিশ না করে যিনি তার আট বছর পরে ওই বিভাগে যোগদান করেছেন, তাকে অধ্যাপক পদে নিয়োগের সুপারিশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ দেন। পদোন্নতি বঞ্চিত বিষয়ে বিভাগে আপিল করেন। তাতে কোনরূপ প্রতিকার না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ড. সামিনা লুৎফা।


সর্বশেষ সংবাদ