পাঠদান ও গবেষণা শিক্ষকদের মূল কাজ: চবি উপাচার্য

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইকিউএসির উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইকিউএসির উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালা  © সংগৃহীত

‘পাঠদান ও গবেষণা হচ্ছে শিক্ষকদের মূল কাজ। নতুন শিক্ষকদের একাডেমিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইকিউএসির উদ্যোগে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার এ কথা বলেন। ‘HEAT ATP Sub-project Proposal Writing’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন লেকচার গ্যালারীতে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন)  অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন। 

আইকিউএসি’র পরিচালক  অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত পরিচালক  অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোছাইনের পরিচালনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত)  অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। বিশেষজ্ঞ বক্তা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) এটিএফ সাব-প্রকল্পের ম্যানেজমেন্ট বিশেজ্ঞ  অধ্যাপক ড. মো. মোজাহার আলী।

উপাচার্য বলেন, এ কর্মশালা আমাদের শিক্ষকদের জন্য এক বিরল সুযোগ এনে দিয়েছে, বিশেষ করে নতুন শিক্ষকদের জন্য। তাদের পাঠদান পদ্ধতি মানসম্মত পযার্য়ে নিয়ে যেতে এ প্রজেক্ট চমৎকার একটা সুযোগ করে দিয়েছে। উপাচার্য নতুন শিক্ষকদেরকে সিনিয়র শিক্ষকদের সাথে যুক্ত হয়ে এ প্রজেক্টের আওতায় কাজ করে নিজেদের সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি একাডেমিক সকল কার্যক্রমে পারদর্শিতা অর্জনের আহবান জানান।

তিনি জীব বিজ্ঞান, বিজ্ঞান, মেরিন সাইন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের মতো অন্য অনুষদকেও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে এগিয়ে এসে দেশ-জাতির কল্যাণে কাজ করার আহবান জানান। কর্মশালায় উপস্থাপিত আলোচনা-পযার্লোচনার মাধ্যমে শিক্ষকরা নিজেদের অ্যাকাডেমিক প্রজেক্ট উপস্থাপন করতে সক্ষম হবেন বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

আরো পড়ুন: এমপিওভুক্ত হচ্ছেন ৩২০৬ জন, উচ্চতর স্কেল পাচ্ছেন ২৮৪২ শিক্ষক

উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, উচ্চশিক্ষার বিষয়গুলো আমাদেরকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। একইসাথে উচ্চশিক্ষাকে একটি সুনির্দিষ্ট মানে নিয়ে যেতে শিক্ষক-গবেষকদের নিয়মিত গবেষণার প্রতি জোর দেওয়ার আহবান জানান।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন)  অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, এ প্রজেক্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এক্সিলেন্সকে তরান্বিত করবে। শিক্ষকরা বিভাগের সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরে নিজেদের প্রস্তাবনা উপস্থাপনের মাধ্যমে বিভাগকে সমৃদ্ধ করার যে সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে, সেটাকে কাজে লাগানোর জন্য উপ-উপাচার্য পরামর্শ প্রদান করেন।

রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম কর্মশালায় উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, এর মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়ায় কীভাবে প্রজেক্ট প্রস্তাবনা তৈরি করা যায়, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ