জাবিতে চারুকলা ভবন নির্মাণে ১৯ সদস্যের পর্যালোচনা কমিটি গঠন

পুরাতন চারুকলা বিভাগ, জাবি
পুরাতন চারুকলা বিভাগ, জাবি  © টিডিসি ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চারুকলা ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুর রবকে কমিটির সভাপতি করে ১৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) মো. মাহতাব-উজ-জাহিদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, শহীদ সালাম-বরকত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আব্দুল হালিম, চারুকলা বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক শামীম রেজা, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আকতার মাহমুদ, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এ. কে. এম. রাশিদুল আলম, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মো. জহির রায়হান, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আফসানা হক, এবং প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) জনাব আব্দুস সালাম মো. শরীফ এবং সদস্য সচিব রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. এ বি এম আজিজুর রহমান।

এছাড়াও কমিটির কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকবেন, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের (৪৮তম) ব্যাচের শিক্ষার্থী ও আধিপত্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের প্রতিনিধি সুয়াইব হাসান, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও  জাবি ছাত্র ইউনিয়ন একাংশের সাধারণ সম্পাদক আলিফ মাহমুদ) জাহিদুল ইসলাম ইমন।

আরও থাকবেন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও জাবি ছাত্র ইউনিয়ন একাংশের সভাপতি (অর্মত্য-ঋদ্ধ) অমর্ত্য রায় জন, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মো. শরন এহসান, ইংরেজি বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও চিরকুট এর সভাপতি মো. মামুন মিয়া (মেহেদী মামুন), পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের প্রতিনিধি মো. মাহফুজুল ইসলাম মেঘ, চারুকলা বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. রাইদ হোসেন ও  ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এ. এম. হাবিব উসমান (আরিয়ান), মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী  মো. আব্দুল মোমেন এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষাবর্ষ ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আনজুম শাহরিয়ার।

এর আগে এ বছরের শুরুতে আল বেরুনী হলের বর্ধিতাংশের লেকের পাশে পরিযায়ী পাখির আবাসস্থল ধ্বংস করে চারুকলা ভবন নির্মাণের জন্য দেড় শতাধিক গাছ কাটা হয়। এসময় প্রকল্পটি নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ রক্ষার দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিভিন্ন ধরনের সমালোচনার সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদের মুখে ছাত্রলীগের সহায়তায় সেই সময় প্রশাসন ভবন নির্মাণকাজ শুরু করে ।

পরবর্তীতে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনের পর ভারত-বাংলাদেশ যৌথ অর্থায়নে চলমান প্রায় ১০০ কোটি টাকার প্রকল্পটির কাজ বন্ধ হয়। প্রকল্পটির ৫০ কোটি টাকা ভারতীয় বরাদ্দ। এ নিয়েও শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এছাড়া ভারতীয় অর্থায়ন, মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া ভবন নির্মাণসহ  বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় একাডেমিক ভবন নির্মাণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।

উল্লেখ্য, গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী ২১ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ