চবিতে ছাত্রলীগের হাতে সাংবাদিক হেনস্তা

চবি ক্যাম্পাসের কাটা পাহাড় এলাকায় লাঠি-রড হাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা
চবি ক্যাম্পাসের কাটা পাহাড় এলাকায় লাঠি-রড হাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা  © সংগৃহীত

চাকরিতে কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে ৪ জন আহত হয়েছেন। এসময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নেতাকর্মীদের হাতে সাংবাদিকরাও হেনস্তার স্বীকার হয়েছে। 

জানা যায়, রবিবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে এলাকায় সারাদেশের মতো প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে জড়ো হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের কাটাপাহাড় রোডে পেছন থেকে অতর্কিত হামলা করে ছাত্রলীগ।  

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী সেখানে আসেন। এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মাঝেই কয়েকটি বাজি ফুটান। এরপরেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পিছু হটে। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা কাটা পাহাড় দিয়ে শহীদ মিনার মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগের  নেতাকর্মীরা তাঁদের ধাওয়া দেন। পরে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদেরকে লাঠি দিয়ে ধাওয়া করতে দেখা যায়।

ঘটনার সময় হেনস্তার স্বীকার সময় টিভির বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ওবায়দুর রহমান তারিফ বলেন, হামলার সময় আমি ভিডিও করছিলাম এমন সময় ছাত্রলীগের একজন এসে বলে তুমি ভিডিও করছো কেনো? আমি সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও সে আমাকে সেশন জিজ্ঞেস করে। আমার ফোন নিয়ে ভিডিও দেখতে চাই। আমি দিতে রাজি না হলে পরে আরও কয়েকজন তেড়ে আসে। পরিস্থিতি খারাপ দেখে প্রথম আলোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মোশাররফ শাহ আমাকে নিয়ে আসে। তাদের আচরণ এমন ছিল মনে হচ্ছিল আসাদের ওপরও হামলা করবে। আমি ছাড়াও আরও কয়েকজনের সাথে এমন আচরণ করেছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকাল প্রতিনিধি এস এম মাহফুজের সাথেও হামলাকারীরা একই আচরণ করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবরার শাহরিয়ার বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আন্দোলনকারীরা উসকানিমূলক স্লোগান দিয়েছে। তাঁরা বলেছে শেখ হাসিনা গদি ছাড়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মত জায়গায় দাঁড়িয়ে এই স্লোগান দিবে ছাত্রলীগ এটা কখনো মেনে নেবে না। আমরা তাদেরকে চলে যেতে বলেছিলাম কিন্তু তাঁরা আমাদের উপর তেড়ে আসে। তখন আমি জিজ্ঞেস করেছি তোমরা কি রাজাকার? তখন তারা বলেছে হ্যাঁ! এটা বলার পর তাদের আর কোনো ছাড় নাই। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. অহিদুল আলম বলেন, আমি অসুস্থ হওয়ায় কি হয়েছে জানি না।


সর্বশেষ সংবাদ