ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবি শিক্ষার্থীদের
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৭ PM , আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৭ PM
২০১৮ সালে সরকার ঘোষিত চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ চার দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। রবিবার (৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেইট) সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
এতে সড়কের উভয় লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে দুপুর ১ টার দিকে প্রায় পৌনে দুই ঘন্টা পর অবরোধ কর্মসূচী শেষ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।
৪৮তম ব্যাচের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের দাবিটি কোনো রাজনৈতিক দাবি নয়। সংবিধান বহির্ভূত কোন দাবি নয়। আমরা কোনো সরকার বিরোধী আন্দোলনও করছি না আমাদের একটাই চাওয়া আমাদের প্রাপ্য সুযোগটুকু যা এনে দিয়েছিল দেশের সূর্যসন্তান মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে স্বাধীন করার মাধ্যমে। বিনিময়ে ঝরে ছিল ৩০ লক্ষ তাজা প্রাণ। তারা কোটার জন্য যুদ্ধ করে নাই, তারা যুদ্ধ করেছে দেশ স্বাধীন করার জন্য। তারা সাম্যের জন্য যুদ্ধ করেছে, তারা মানবিক মর্যাদার জন্য যুদ্ধ করেছে। সামাজিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যুদ্ধ করেছে তারা।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, আমাদের কর্মসূচি বিকাল তিনটা থেকে থাকলেও সনাতন ধর্ম অবলম্বীদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা আমাদের কর্মসূচিকে বেলা ১১ টা থেকে শুরু করেছি। আমাদের দাবি আদায় না হাওয়া পর্যন্ত আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য এই আন্দোলন চালিয়ে যাবো। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাস পরীক্ষা-বর্জন করেছে। প্রয়োজনে এর চেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করতেও আমরা প্রস্তুত আছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ আলমগীর কবির বলেন, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের জন্য বলেছি। পাশাপাশি আমরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি খেয়াল রেখেছি। যেহেতু এটা জাতীয় ইস্যু, দেশব্যাপী আন্দোলন চলছে। সেহেতু আমি নৈতিকভাবে শিক্ষার্থীদের বাঁধা দিতে দেইনি। তারা শান্তিপূর্ণ ভাবে অবরোধ কর্মসূচী শেষ করেছে।