৪ ঘণ্টা ধরে শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩০ PM , আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৩ PM
হাইকোর্ট কর্তৃক ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে, ছাত্রলীগের বাধা অতিক্রম করে টানা চতুর্থ দিনের আন্দোলনে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান গ্রহণ করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় আশেপাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে শাহবাগ অচল হয়ে পড়ে।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হল থেকে আলাদা ব্যানারে করে সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন। পরে সেখান থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে হল পাড়া-ভিসি চত্বর-টিএসসি হয়ে বেলা দুপুর ১২টায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়। বিকেল ৪টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা শাহবাগ অবরোধ করে রাখেন।
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ফার্মগেট-শাহবাগ, শাহবাগ-পল্টন-মগবাজার রোড, শাহবাগ-সাইন্সল্যাব রোড এবং শাহবাগ- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে যায়। এসময় সাধারণ জনগণ গাড়ি ছেড়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যেতে থাকেন। তবে এম্বুলেন্সের নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য শিক্ষার্থীরা জায়গা করে দেয়।
আন্দোলনরত এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করবো।আজকে আমরা এখানে এক দুই ঘন্টার জন্য আসিনি। আজকে আমরা দীর্ঘ সময়ের জন্য আন্দোলনে জড়ো হয়েছি।
সূর্য সেন হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদেরকে ছাত্রলীগের নেতারা হলে আটকে রাখছিল যেনো আমরা কোটা আন্দোলনে আসতে না পারি। তারা তাদের নেতাদের খুশি করার জন্য আমাদের সাথে এমনটা করেছে। সকল বাধা অতিক্রম করে আন্দোলনে এসেছি। যতদিন না আমাদের দাবি না মানা হবে ততদিন আন্দোলন করবো।
৪ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। দাবিগুলো হলো: ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা; পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠনপূর্বক দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সমস্ত গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ব্যাতীত); সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা।