তৃতীয় দিনের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে ঢাবি শিক্ষকরা, বন্ধ ক্লাস-পরীক্ষা

তৃতীয় দিনের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে ঢাবি শিক্ষকরা
তৃতীয় দিনের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে ঢাবি শিক্ষকরা  © টিডিসি ফটো

সর্বজনীন পেনশন (প্রত্যয় স্কিম) সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে আজ ৩য় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করে ঢাবি কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। গত ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছে ঢাবি কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। আজ ৩ জুলাই (বুধবার) সকাল ১০ টা থেকে ঢাবির প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করে তাঁরা। 

ঢাবি কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মোত্তালিব বলেন, যে অধিকার জাতির জনক আমাদের দিয়ে গেছেন সেই অধিকার হনন করার অধিকার কারো নেই। তিনি আমাদের স্বায়ত্তশাসন দিয়ে গেছেন। দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে যেই ঢাবি সেই ঢাবি কখনো মাথা নত করে না। 

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের কর্মসূচির মাধ্যমে জানিয়ে দিব ঢাবি কখনো মাথানত করেনি। আমাদের দাবি না মানলে সামনে আন্দোলন আরো কঠোর করবো। প্রয়োজনে ঢাবির ভিতর দিয়ে সচিবদের যাওয়ার পথ বন্ধ করে দিব। প্রিয় শিক্ষার্থীরা আমরা আপনাদের জন্যও লড়াই করছি।আপনারা এগিয়ে আসুন আমাদের সাথে। কারণ ভবিষ্যতে আপনারাও এখানে আসবেন।

ডেপুটি রেজিস্ট্রার মঞ্জুর হোসেন বলেন, ঢাবির আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয়নি। সম্মানিত সহকর্মীরা আশা রাখেন আমাদের আন্দোলন সফল হবে। দেশের একটা কুচক্রী মহল, যারা এরকম বৈষম্যমূলক স্কিম চালু করে, যারা প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক স্থিরীকৃত কোটার বিষয়টিকে এখন চালু করতে চাচ্ছে তাদের বিচার করা হোক। 

কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে ঢাবির ক্ষতির প্রসঙ্গে মঞ্জুর হোসেন বলেন, কর্মবিরতির জন্য যে ক্ষতি হচ্ছে সেটা অতিরিক্ত কাজ করে ক্ষতি পূরণ করে দিব আমরা।

প্রধান প্রকৌশলী আকরাম হোসেন বলেন, সরকারের একটা কুচক্রী মহল আমাদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে। বিষয়টা সরকারকে সূক্ষ্মভাবে দেখতে হবে। আমরা এই প্রত্যয় স্কিম মেনে নিলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কি করবে? সরকার সর্বজনীন পেনশন চালু করেছে। এর জন্য আমরা অভিনন্দন জানাই। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য বৈষম্যমূলক প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ