ঢাবিতে দোকান থেকে চাঁদা তুলছিলেন কর্মচারী, হাতনাতে ধরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের নিরাপত্তাকর্মী নুর আলম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের নিরাপত্তাকর্মী নুর আলম  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অবৈধভাবে বসানো ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে চাঁদাবাজির সময় এক কর্মচারী হাতেনাতে ধরা পড়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের নিরাপত্তাকর্মী নুর আলম। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাকিম চত্বরে চাঁদা নেওয়ার সময় একদল শিক্ষার্থীর তাকে ধরে ফেলেন। 

এ সময় তিনি ভ্রাম্যমাণ দোকানি আরিফের কাছ থেকে স্থানের চাঁদা বাবদ ২০০ টাকা নিচ্ছিলেন বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থীর ভাষ্য, হাকিম চত্বরের রাস্তার পাশে অবৈধভাবে আচারের দোকান দিয়েছেন আরিফ। এ স্থানের চাঁদা বাবদ প্রতিদিন নুর আলমকে টাকা দেন তিনি। 

শনিবারের চাঁদা হিসেবে নুর আলমকে ২০০ টাকা দেন আরিফ। তবে আরও বেশি টাকার দাবি করেন তিনি। এ নিয়ে দুজনের তর্কের সময় শিক্ষার্থীরা তাদের ধরে ফেলেন। এ সময় নুর আলমের হাতে আরিফের দেওয়া দু’টি ১০০ টাকার নোট ছিল বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে নুর আলম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমি টাকা নিইনি। উনি নিজ থেকে আমাকে চা-নাস্তা খাওয়ার জন্য টাকা দিয়েছেন। উনি টাকা দিলে আমার কী করার আছে।’

সরেজমিনে দেখা যায়, হাকিম চত্বরে আরিফের পাশাপাশি ওজন মাপার যন্ত্র, ফুচকা ও ফুলের দোকান নিয়ে কয়েকজন বসেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসার কোনো অনুমতি নেই। 

ফুলের দোকান দিয়ে রাস্তার পাশে বসেছিলেন সমতাজ বেগম। কার থেকে অনুমতি নিয়ে দোকান বসানো হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ এক নেতার নাম বলেন। এ বিষয়ে শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘তার বিষয়টি জানা নেই। ওই নারী মিথ্যা কথা বলছে।’

সৈকতের সঙ্গে যোগাযোগের পর সুর পাল্টান সমতাজ। এ সময় কোকড়া চুলের একজনের কথা বলেন তিনি। তবে তার নাম বা পরিচয় দিতে পারেননি।

আরো পড়ুন: চলন্ত অবস্থায় প্রায়ই বিকল হচ্ছে লিফট, আটকা পড়ছেন শিক্ষর্থীরা

পাশেই ওজন মাপার যন্ত্র নিয়ে বসেছিলেন মোস্তফা। তারও এখানে বসার কোনো অনুমতি নেই। তবে চাঁদা দিয়ে নিয়মিতই এখানে বসেন বলে জানান তিনি।

জানতে চাইলে গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক নাসিরউদ্দীন মুন্সী বলেন, ‘আমি গ্রন্থাগারে এসেছি। যে অভিযোগ উঠেছে বিষয়টি দেখছি।'

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা শিগগিরই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। টিএসসিতে অবৈধ দোকানগুলোর পেছনে পায়রা চত্বরের নিরাপত্তাকর্মীদের হাত থাকতে পারে।’


সর্বশেষ সংবাদ