ভাষার মাসে ঢাবিতে ইন্টারন্যাশনাল ল্যাংগুয়েজ ক্লাবের যাত্রা শুরু

ঢাবি ইন্টারন্যাশনাল ল্যাংগুয়েজ ক্লাবের উদ্যোক্তারা
ঢাবি ইন্টারন্যাশনাল ল্যাংগুয়েজ ক্লাবের উদ্যোক্তারা  © টিডিসি ফটো

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ইন্টারন্যাশনাল ল্যাংগুয়েজ ক্লাবের (International Language Club) আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে এক আলোচনা সভায় নতুন এ সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গোলাম রব্বানীর পৃষ্ঠপোষকতায় আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাবটির যাত্রা শুরু হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অধ‌্যাপক ড. র‌শিদ আহমদ, অধ্যাপক গোলাম মাওলা, জাপানের টোকিও ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজের (টিইউএফএস) শিক্ষার্থী কোয়া কাওয়াদেসহ (Koya Kawade) বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী।

বাংলা, ইংরেজি, আরবি, উর্দু, ফার্সি, সংস্কৃত, পালি, জাপানিজ, চাইনিজ, কোরিয়ান, জার্মানি, তুর্কি, হিন্দিসহ ১৩টি ভাষার শর্ট কোর্স প‌রিচালনা, ভাষার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা ও শেখার প্রক্রিয়া সম্বন্ধে সেমিনারের আয়োজন করাসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করবে ক্লাবটি।

বিভিন্ন ভাষা শেখা এবং চর্চার মাধ্যমে নিজেদের যোগাযোগ দক্ষতা উন্নয়ন করার লক্ষ্যে ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক ড. গোলাম রববানী। তিনি বলেন, বহুজাতিক যোগাযোগ এবং ব্যক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হলে ভাষা জানার বিকল্প নেই। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশরা নিজেদের শাসনকার্য সহজ করার উদ্দেশ্যে এ অঞ্চলের স্থানীয় ভাষাগুলোর প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়েছিল। সে কারণে তারা ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করে বাংলা, উর্দু ও হিন্দিসহ বিভিন্ন ভাষার চর্চা বাড়িয়েছিল।

অধ্যাপক গোলাম মাওলা ইন্টারন্যাশনাল ল্যাংগুয়েজ ক্লাব গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানি‌য়ে বলেন, সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে সার্বজনীন এমন উদ্যোগ যেন সফলতা পায়, সেজন্য যে সব সহযোগিতা প্রয়োজন তা করতে আমরা প্রস্তুত আছি।

জাপানি শিক্ষার্থী কোইয়া কাওয়াদে বলেন, ‘আমি বাংলা, উর্দু, হিন্দি,বেলুচি এবং জাপানিজসহ সাতটি ভাষা বলতে পারি। আরও শিখছি। ভাষা শেখা এবং তা ধারণ করার মাধ্যমে আমি পৃথিবীর বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর আচার-আচরণ এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা অর্জন করছি। আর সেই উদ্দেশ্যেই আমার বাংলাদেশে আসা।’

আরো পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন আজ

ঢা‌বি শিক্ষার্থী আবির হো‌সেন গিয়াসকে সভাপতি এবং  সৈয়দ জান্নাতুল নাঈমকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। এতে সহ-সভাপতি হিসেবে মো. হাবিবুল্লাহ মুসকান ও মুমতাহিনা রহমান সিফাত, যুগ্ম সম্পাদক দ্বীপ বিশ্বাস, কোষাধ্যক্ষ শুভেচ্ছা আমীন, প্রচার সম্পাদক মো. তাওহীদুল ইসলাম, উপ-প্রচার সম্পাদক সোহানা আক্তার রিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিয়া ইসলাম মৌ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মহিবুল হাসান এবং নির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার মুন্নি ও ইমরান বিশ্বাসকে নির্বাচিত করা হয়।

এছাড়া প্রতিটি ভাষাকে প্রতিনিধিত্ব করতে একজন করে পরিচালক নির্বাচিত করা হয়েছে। এতে মো. রাকিব হোসেন (পরিচালক বাংলা), মো. খালিদ সাইফুল্লাহ জিহাদ (পরিচালক ইংরেজী), আবু বকর সিদ্দিক (পরিচালক আরবী), জান্নাতুল মাওয়া জ্যোতি (পরিচালক উর্দু), আবু বকর জিয়া (পরিচালক ফারসি), তানজিলা আক্তার (পরিচালক পালি), গৌরব চৌধুরী (পরিচালক সংস্কৃত), মো. ইমামুল হাসান সৌরভ (পরিচালক হিন্দি), রাতুল হাসান (পরিচালক জার্মানি), আতিয়া সুলতানা এশা (প‌রিচালক কো‌রিয়ান), সাওদা জামান নবনী (পরিচালক তুর্কি), মুনতাকা তাসনিম মেলোডি (পরিচালক জাপানিজ) এবং ফাহিম বিন আলী প্রধানকে (পরিচালক চাইনিজ) নির্বাচিত করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ