‘সাংবাদিকরা সত্য তুলে ধরেন বলেই বিরোধ তৈরি হয়’
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:০২ AM , আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:০২ AM
সাংবাদিকরা সত্য তথ্য তুলে ধরেন বলেই তাদের সাথে বিরোধ তৈরি হয় বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহাব উদ্দিন নীপু।
বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস)। ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩: সাংবাদিকতায় নেতিবাচক প্রভাবও করণীয়’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা জলে বাস করে কুমিরের সাথে ঝগড়া করার মতোই ব্যাপার। এটা ব্যক্তিগত বিরোধ নয়, পেশাগত। সত্যকে তুলে ধরতে গিয়েই এ বিরোধ তৈরি হয়। এটাই ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার বাস্তবতা। স্বাভাবিক অবস্থার ব্যতিক্রম হওয়াটাই হচ্ছে সংবাদ যা লোকে জানতে চায়। ইতিবাচক সাংবাদিকতা বলে সাংবাদিকতাকে অবদমিত করার চেষ্টা করা হতে দেখা যায়। ২০০৬ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এই আইনের অধীনে অনেক মানুষকে মামলা দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের ভূমিকায় সরকার চাপের মুখে পড়ে এটি পরিবর্তন করেছে। সাংবাদিকতা বর্তমানে ভেতর ও বাহির থেকে চাপে আছে। বহুজাতিক কোম্পানির মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম হওয়ায় বিভিন্ন সমস্যার তৈরি হয়েছে। এছাড়াও সংবাদমাধ্যমগুলো বিভিন্ন আদর্শে বিভাজিত হয়ে গেছে। সংবাদমাধ্যমগুলোর মধ্যে কোনো একতা নাই। ফলে সরকারও এমন আইন করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নতুন আইনে অজামিনযোগ্য ধারা কমিয়ে চারটি করা হয়েছে। এছাড়াও কিছু ধারাকে আরো সুনির্দিষ্ট ও পরিষ্কার করা হয়েছে। তবে সমালোচিত ধারাগুলো এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে বলেই সাংবাদিকরা নিজেদের নিরাপদ মনে করছেন না। বর্তমানে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা খুবই ম্রিয়মাণ হয়ে পড়েছে। কারণ, সংবাদমাধ্যমকে আইনের বেড়াজালে জড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এজন্য সাংবাদিকদের এই আইন নিয়ে বিস্তারিত জানতে হবে। সরকার যেমন কৌশলী হয়েছে, সাংবাদিকদেরও তেমন কৌশলী হতে হবে। এ আইনে পুলিশকে অবারিত ক্ষমতা দেওয়ায় সাংবাদিকদের অনেক বেশি জানাশোনা প্রয়োজন।