‘শান্তিচুক্তির ফলে ভেবেছিলাম শেখ হাসিনা নোবেল পুরস্কার পাবেন’

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৬ বছর উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে

চবির নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ
চবির নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ  © সংগৃহীত

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নোবেল শান্তি পুরস্কার পাবেন বলে আশা করেছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ। শান্তিচুক্তির ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ বলেন, ১৯৯৭ সালের শান্তি চুক্তির মধ্যে দিয়েই পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি এসেছে। এই চুক্তির করায় আমরা ভেবেছিলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নোবেল পুরষ্কার পাবেন। তবে তিনি ইউনেস্কোর শান্তি পুরষ্কার পেয়েছেন। সেখানে বর্তমানে সংঘাত চললেও আগের থেকে অনেকটা কমে এসেছে। এই চুক্তির পক্ষে বিপক্ষে নানান যুক্তি রয়েছে। এখন হুমায়ুন আজাদের কথিত সেই 'সবুজ পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে হিংসার ঝর্ণাধারা' এখন আর নেই। সেখানে শান্তি সম্প্রীতির সুবাতাস বইছে সেখানে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, পৃথিবীর অনেক জায়গায় বিভিন্ন শান্তিচুক্তি হয়েছিলো। কিন্তু আমাদের শান্তিচুক্তি অনন্য। একটা সময় আমরা শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামে মৃত্যুর খবর শুনতাম। আমরা খুব খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে একটা সময় পার হয়েছি। একটা সময় সেনাবাহিনী বাড়ি থেকে পার্বত্য অঞ্চলের উদ্দেশে বের হতো বিদায় নিয়ে। তারা জানতো না আবার বাড়িতে ফিরতে পারবে কি-না। কিন্তু আজকে আমরা এ অঞ্চলগুলোতে নির্বিঘ্নে ঘুরতে যাই। এখন সেই অসময় কেটে গেছে। অসলো চুক্তি বা প্যারিস শান্তিচু্ক্তি ঠিকভাবে বাস্তবায়ন না হলেও আমাদের এই চু্ক্তি বিশ্বে মডেল হিসেবে তৈরি হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার উপজাতিদের জন্য কোটা সিস্টেম চালু করেছে। আমরা দুটি আবাসিক হলে পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দিয়েছি। আমরা যদি পার্বত্য অঞ্চলকে আরও উন্মুক্ত করে দিতে পারি, পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে তারাও আরও সমৃদ্ধ হবে। এখানে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সাংসদরাই যেন আগামীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে পারে সে বিষয়ে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তাই আমরা মনে করি পার্বত্য অঞ্চলের সমৃদ্ধির জন্য আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আবারও আসা দরকার।


সর্বশেষ সংবাদ