শেষ কার্যদিবস পার করে ‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন’ ঢাবি ভিসির
- জোবায়ের হোসাইন, ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৩, ১০:০৭ PM , আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫৯ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য হিসেবে টানা ৬ বছরের বেশি সময় ধরে আছেন অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তার মেয়াদ শেষ হবে আগামী শনিবার (৪ নভেম্বর)। এর আগে আজ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) শেষ কার্যদিবস ছিল। বিকেলে উপাচার্য হিসেবে নিজের শেষ একাডেমিক কাউন্সিল মিটিংও করেছেন তিনি। এদিন সহকর্মীদের ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৮তম উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
জানা যায়, অধ্যাপক আখতারুজ্জামান প্রথমবার ‘সাময়িকভাবে’ নিয়োগ পেয়েছিলেন ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। এরপর ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর পর্যন্ত এ পদে দায়িত্বপালন করেন। পরে ওই বছরের ৪ নভেম্বর থেকে চার বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এই অধ্যাপক। সে হিসেবে আগামী শনিবার (৪ নভেম্বর) তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এদিকে, গত ১৫ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯তম উপাচার্য পদে সাময়িকভাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন বর্তমান উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। তিনি আগামী শনিবার (৪ নভেম্বর) এই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
আগামীকাল শুক্রবার ও পরের দিন শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় আজ শেষ কার্যদিবস পার করলেন উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। এ বিষয়ে তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সহকর্মীদের ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে আমার আজকের এই পবিত্র দিনটি শেষ হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ আমি খুবই পরিতৃপ্ত মানুষ, কোনো অতিরিক্ততা নেই। আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই। আমার সহকারীবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীবৃন্দ এবং অন্যান্যরা আজকে বিশেষ করে একাডেমিক কাউন্সিলে তারা যেভাবে সম্মান দিয়েছে এবং অন্যান্য কাজে যেভাবে তারা সবসময় সহায়তা করেছে আমি তাদেরকে আন্তরিকভাবে স্মরণ করি ও ধন্যবাদ দেই।
তিনি আরও জানান, সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিল আমাকে অসাধারণ সম্মান দিয়েছে। আমি আশা রাখছি এই কাজগুলো তারা এগিয়ে নেবেন। অনেকগুলো উদ্যোগ আছে, এই উদ্যোগগুলো পরবর্তী উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামাল এগিয়ে নিবেন। আমি তাকে অভিনন্দন জানাই। আমি আগামী শনিবার যত দ্রুত সম্ভব আমি সকল নিয়ম মেনে একটা সুন্দর ধারা অনুযায়ী দায়িত্ব হস্তান্তর করবো।
এসময় তিনি জানান, আমি খুব খুশি যে সহকর্মীরা আমার বিভিন্ন কার্যক্রমের ইতিবাচক মূল্যায়ন করেছেন। আমি কৃতজ্ঞ তারা যেভাবে বিষয়গুলো ধারণ করেছেন, সহায়তা করেছেন সেজন্য। তবে আশা করি আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও এমন ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং সামনের দিনগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় আরও এগিয়ে যাবে।
পরবর্তী উপাচার্যের প্রতি কী উপদেশ থাকবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনের বিধি-বিধান, নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে, গণতান্ত্রিক চেতনা ধারণ করে দায়িত্ব পালন করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
উদ্বোধনকৃত প্রকল্পগুলো শেষ না করতে পারা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মনুমেন্ট প্রকল্পের প্রায় সব ধরনের সেটআপ আমি ঠিক করে দিয়েছি। তবে আশা করছি পরিকল্পনা অনুযায়ী পরবর্তী উপাচার্য কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যাবেন।