প্রাইভেট কারের ধাক্কায় গুরুতর আহত ঢাবি শিক্ষক
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৩, ১১:৪২ PM , আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৩, ১২:১২ AM
প্রাইভেট কারের ধাক্কায় রিক্সা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রওশন আরা। দূর্ঘটনার বিষয়টি শুক্রবার রাতে নিশ্চিত করেছেন আহত শিক্ষকের স্বামী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সিকদার মাহমুদুর রাজীব।
তিনি বলেন, বুধবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৮ টায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুকুরপাড় মসজিদ এলাকায় নিজের বাসায় যাওয়ার পথে কাটাবন সিগন্যাল পার হলে একটি প্রাইভেট কার পেছন থেকে ধাক্কা দিলে রিক্সা উলটে পড়ে যান তিনি। এতে তিনি মাথায় ও ডান চোখে গুরুতর আঘাত পান।
দুর্ঘটনার সময় একজন বিচারক (শিক্ষকের বিভাগের বড় ভাই) ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে এই অবস্থা দেখতে পেয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এসময় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার মাথায় ৭ টা সেলাই প্রয়োজন হয়েছে। এছাড়া, ডান চোখে আঘাত পেয়েছেন এবং কপালের দিকে ছোট ফ্রাকচার হয়েছে।
চিকিৎসকের ভাষ্য অনুযায়ী তার 'শর্ট টার্ম মেমোরি লস' হয়েছে। বর্তমানে আহত চিকিৎসকের অবস্থা আশঙ্কাজনক না হলেও সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। বর্তমানে তিনি রাজধানীর গ্রীন লাইফ হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অপরদিকে রিক্সা চালকও রাস্তায় পড়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পেয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসায় তার মাথায় কয়েকটি সেলাই প্রয়োজন হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে মেডিকেল থেকে রিলিজ দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
দুর্ঘটনার বিষয়ে আহত শিক্ষকের স্বামী মাহমুদুর রাজিব বলেন, সে তার ব্যাক্তিগত কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে পেছন থেকে একটি প্রাইভেটকার তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় সে ও রিক্সা চালক রাস্তায় পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পায়। আমার স্ত্রীর মাথায় ৭ টি সেলাই দিতে হয়। তার ডান চোখে আঘাত পেয়েছে। বড় ধরণের ফ্রাকচার না হলেও কপালে ছোট ফ্রাকচার দেখা গিয়েছে। তার শর্ট টার্ম মেমোরি লস হয়ে বলেও ডাক্তার জানিয়েছেন। আপাতত তাকে সবসময়ই ঘুমের ঔষধ দিয়ে রাখা হচ্ছে এবং আজকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
থানায় কোন জিডি করেছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঘটনার সময় ছিলাম না। আসতে একটু দেরি হওয়ায় তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানাতে পারিনি। পরবর্তীতে মেডিকেলে অবস্থানকালে পুলিশ এসে কিছু তথ্য নিয়ে যায় আমার কাছ থেকে। আমি ভেবেছি পুলিশ হয়তো তাদের কাজ করবে। আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকায় আর সেভাবে জিডি বা থানায় খোঁজ নিতে পারিনি।