যবিপ্রবির হলে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
- যবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ০৩:৪২ PM , আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:৩১ PM
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) আবাসিক হলে আটকে রেখে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে যবিপ্রবির পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরাও একাত্মতা প্রকাশ করেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, আবাসিক হলে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এনএফটি বিভাগের শিক্ষার্থীকে হলের রুমে ডেকে নিয়ে যে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। এধরনের নির্যাতনের সাথে জড়িতদের দ্রুত শাস্তির আওতায় এনে ক্যাম্পাসকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ করতে হবে।
পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নিশাত রহমান বলেন, নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী দুদিন আগে রক্তদান করেছেন। এরপরও গতকাল রোজা অবস্থায় এমন নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুততম সময়ে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। একজন ছেলে হয়ে তার এরকম অনিরাপত্তা? তাহলে আমরা মেয়ে হয়ে কতটুকু নিরাপদ আছি? আমরা সকল শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দোষীদের দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতার জোর দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থী নির্যাতন এমন ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান এনএফটি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার। তিনি বলেন, মাননীয় উপাচার্য র্যাগিং ও বিভিন্ন নির্যাতনের বিরুদ্ধে সব সময় জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেন। গতকালের নির্যাতনের ঘটনায়ও উপাচার্য স্যার বরাবরের মতোই উদ্বীগ্ন। আমরা আশা করি উপাচার্য মহোদয় শিক্ষার্থী নির্যাতনের সাথে জড়িতদের দ্রুতই শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবেন।
এসময় যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও শহীদ মসিয়ূর রহমান হল এর প্রভোস্ট ড. মো. আশরাফুজ্জামান জাহিদ বলেন, এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি। প্রশাসনের সাথে কথা হয়েছে- লিখিত অভিযোগের সাথে সাথে হল থেকে একটি কমিটি গঠন করা হবে এবং সেই কমিটির রিপোর্ট এর ভিত্তিতে ডিসিপ্লিনারি কমিটি গঠন করা হবে । সেই কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাননীয় উপাচার্য মহোদয় সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবেন।
প্রসঙ্গত, রোববার (২ এপ্রিল) যবিপ্রবির শহীদ মসীয়ূর রহমান হলে নিউট্রিশন এন্ড ফুড টেকনোলজি (এনএফটি) বিভাগের (২০১৮-১৯) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ ইসমাঈল হোসেন কে রুমে আটকে রেখে নির্যাতন করেন কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সালমান এম রহমান ও মোঃ শোয়েব আলী। এতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে আহত হন। বর্তমানে নির্যাতনের মিকার ওই শিক্ষার্থী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।