স্বাভাবিক রাবি এলাকা, চলছে দূরপাল্লার যানবাহন
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৩, ১১:২৭ AM , আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৩, ০৮:১৫ PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় সংঘর্ষের ঘটনার চতুর্থ দিনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে চলছে দূরপাল্লার বাস। ফলে ভোগান্তি কমেছে যাত্রীসহ যানবাহন শ্রমিকদের। মঙ্গলবার (১৪মার্চ) সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে এমন চিত্র দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত হওয়ায় ক্যাম্পাসের পরিস্থিতিও স্বাভাবিক।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাল থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। কোথাও নেই শিক্ষার্থীদের আনাগোনা, বিক্ষোভ মিছিল বা আন্দোলন। গতকাল থেকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক দিয়ে অটোরিকশাসহ ছোট ছোট যানবাহনও চলাচল করলেও আজ সকাল থেকে দূরপাল্লার বাসগুলোও চলাচল করতে দেখা যায়।
যান চলাচলে যাতে বিঘ্ন না ঘটে সে জন্য বিনোদপুর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো ক্যাম্পাস নজরে রাখছেন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা।
গত শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক বন্ধ থাকায় বন্ধ ছিল দূরপাল্লার যান চলাচল। তবে বিকল্প পথে চালু ছিল। নাটোরের দিক থেকে আসা যানবাহন শহরে প্রবেশ করতে বুধপাড়া ফ্লাইওভার দিয়ে চলাচল করছিলো। আর বাজারের দিক থেকে কাটাখালীর দিকে আসা ছোট যানবাহন ফুলতলা বালুরঘাট হয়ে যাচ্ছিল। বাস সিরইল বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে ভদ্রা মোড় দিয়ে নতুন বাইপাস হয় নাটোরের দিকে চলে যায়।
আজ থেকে সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ায় বাইপাস দিয়ে যেতে হচ্ছে না এসব যানবাহনগুলো। দূরপাল্লার বাসগুলোসহ সকল যানবাহন রাবি ক্যাম্পাসের মূল ফটক ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের সামনে দিয়েই তাদের গন্তব্যে স্থলে যাচ্ছে।
সকাল থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়েছেন চালক বাতেন মিয়া। তিনি বলেন, তিনদিন যাবৎ আমরা এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারিনি। আমরা অটো চালিয়ে পেট চালাই। আজ থেকে সব কিছু স্বাভাবিক হওয়ায় আমরা অটো নিয়ে নামতে পেরেছি। এমন ঝামেলা হলে আমাদের মতো নিম্নবিত্তদের সবথেকে ক্ষতির মধ্যে পড়তে হয়।
নির্মাণ শ্রমিক শফিকুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের কারণে এতদিন এ রাস্তা দিয়ে কাজে যেতে পারিনি। আজ সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ায় এ মহাসড়ক দিয়ে গন্তব্যস্থলে যেতে পারছি।
উল্লেখ্য, বগুড়া থেকে একটি বাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন এক ছাত্র। যাত্রাপথে সিটে বসাকে কেন্দ্র করে তার সঙ্গে বাসের সুপারভাইজার ও হেলপারের বাগবিতণ্ডা হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে বাস থেকে কাউন্টারে এসে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা-কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ ঘটনায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।