তদন্ত কমিটি করে সেই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে হল প্রশাসন
রাজধানীর একটি কলেজের ছাত্রীকে যৌন হয়রানির জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থী বাঁধন বিশ্বাসকে মারধর করেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাজীব বিশ্বাস নয়ন। পরে এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হলের প্রভোস্ট, নিজ বিভাগ (ইতিহাস) ও শাহবাগ থানা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন বাঁধন।
এসব অভিযোগে কলেজছাত্রীকে যৌন হয়রানির বিষয়টিও উঠে এসেছে। তবে মারধরের কথা শিকার করলেও যৌন হয়রানির অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন নয়ন। গত বৃহস্পতিবার রাতে জগন্নাথ হলে মারধরের এই ঘটনা ঘটেছিল।
আরও পড়ুন: ছাত্রীকে যৌন হয়রানির জেরে জুনিয়রকে মারধর, খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে ছাত্রলীগ
এ ঘটনায় যথাযথ প্রক্রিয়ায় অনুসরণ করে এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে হল কর্তৃপক্ষ। জানতে চাইলে আজ সোমবার রাতে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী বাধন আমাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তবে আমি আজ ছুটিতে থাকায় প্রক্টর স্যারের সাথে কথা বলে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারিনি। আগামীকাল আমি হলে এসে হাউজ টিউটরদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
আরও পড়ুন: কলেজছাত্রীকে যৌন হয়রানির জেরে জুনিয়রকে মারধর ঢাবির ছাত্রলীগ নেতার
এ ঘটনার ভুক্তভোগী ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বাঁধন বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনার বিচার চেয়ে প্রক্টর-প্রভোস্ট, বিভাগ ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আগামীকাল বিভাগের পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। আমি এ ঘটনায় ন্যায় বিচার চাই।
আরও পড়ুন: অভিযোগ তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন ঢাবির সেই ছাত্রলীগ নেতা
এদিকে লিখিত অভিযোগে তিনি বলেছিলেন, ঘটনার সূত্রপাত সরস্বতী পূজার পর থেকে। পূজার পরদিন রাজীব বিশ্বাস নয়ন সিটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়া আমার এক বান্ধবীকে রাতে ফোন দিয়ে বলেন, তোমাকে ছোট ছোট গেঞ্জি-প্যান্ট, ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরলে হট লাগে। পরবর্তীতে এসব বিষয় তিনি আমাকে বললে ঘটনাটি রাজিব বিশ্বাসের বান্ধবীর সঙ্গে শেয়ার করি। এরপর থেকে তিনি (রাজিব বিশ্বাস) আমাকে মেসেঞ্জারে হুমকি দিয়ে আসছে।
“সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার হলের ৩০১৪ নাম্বার রুমের সামনে তিনি আমাকে ৩০ মিনিট ধরে গালাগালি করে। আমি সরি বললেও পরবর্তীতে তিনি রাত ১২টার দিকে আমাকে রুমে এসে ভাত খাওয়া অবস্থায়' ঘাড়ে, মুখে, কানে চড়, ঘুসি মারে। এসময় রুমে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকাশ মন্ডল থাকায় তিনি আমাকে তাৎক্ষণিক বাঁচান। তবে মারধরের কারণে আমার অবস্থা বেশি ভালো নয়, এখন হলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছি।”