‘ইংলিশ থেরাপি’র পোস্টারে ছেয়ে গেছে ঢাবি এলাকার মেট্রোরেলের পিলার

‘ইংলিশ থেরাপি’ দিয়ে ঘেরা ঢাবি এলাকা
‘ইংলিশ থেরাপি’ দিয়ে ঘেরা ঢাবি এলাকা   © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় ‘ইংলিশ থেরাপি’ নামের একটি বইয়ের পোস্টারে ছেয়ে গেছে মেট্রোরেলের পিলার। মেট্রোরেলের পিলারে পোস্টার লাগানোতে নতুন এই অবকাঠামোর সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থীরা বলছেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নতুন অবকাঠামো নির্মাণের পর সেগুলো পোস্টারে ছেয়ে যায়। এটা মোটেও ঠিক না। কোনো নতুন অবকাঠামোর সৌন্দর্য ধরে রাখা আমার দায়িত্ব। সেজন্য আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে এবং এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তাছাড়া নগরীর সৌন্দর্য ব্যাহত এবং নগরী অপরিচ্ছন্ন বন্ধ না করতে পারলে এর পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করতে অতিরিক্ত জনবল, অর্থ ও সময় নষ্ট হবে। এটি একটি রাষ্ট্রীয় ক্ষতি।

মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলার থেকে শাহবাগ মোড় পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার জুড়ে প্রতিটি পিলারে সমানে পোস্টার লাগানো। জানা যায়, সাইফুল ইসলাম নামের এক লেখকের বইয়ের পোস্টার এটি। যিনি ইংরেজি শেখান। বইটি প্রকাশ করেছে ‘অদম্য প্রকাশ’ নামের একটি প্রকাশনী।

আরও পড়ুন: ২০০ ভরি সোনা ডাকাতির ঘটনায় ছাত্রলীগের সেই সভাপতি বহিস্কার

পোস্টার লাগানোর বিষয়ে ‘ইংলিশ থেরাপি’ বইয়ের লেখক সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে প্রকাশনীকে দোষারোপ করে তিনি জানান, পোস্টারগুলো আমরা লাগাইনি। প্রকাশনী থেকে ছেলেদের দিয়ে লাগানো হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা প্রকাশনীকে অবহিত করেছি। ওরা আর কোনো পোস্টার লাগবে না। এছাড়াও যেগুলো লাগানো হয়েছে, সেগুলো সরানোর উদ্যোগ নিবেন তারা। 

এর আগে, নতুন অবকাঠামোর সৌন্দর্য নষ্ট করার অভিযোগ উঠে ‘পোস্টার বয়’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠা জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইফুদ্দিন মিলনের নামে। যত্রতত্র পোস্টার লাগানো বন্ধ করতে তাকে নোটিশ দিয়ে সতর্ক করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। নোটিশে বলা হয়েছিল দেয়াললিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১২–এর বিধান লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ