রাবিতে উদ্ভাবিত উন্নত জাতের কলার চারা বিতরণ

কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের চারা বিতরণ করা হয়
কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের চারা বিতরণ করা হয়  © সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের গবেষকরা উন্নত জাতের কলা উদ্ভাবন করেছে। টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে উদ্ভাবিত উন্নত জাতের কলার চারা বিতরণ করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের দুপুরে ড. কুদরত-ই খুদা একাডেমিক ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কৃষকদের মাঝে এ উন্নত জাতের চারা বিতরণ করা হয়। 

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক তানজিমা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন  উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলাম ও বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক শাহেদ জামান।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার সংস্থানের জন্য নতুন নতুন জাতের শস্য ও ফলমুল উদ্ভাবন একান্ত প্রয়োজন। সেই লক্ষে দেশের অন্যতম শীর্ষ গবেষণা কেন্দ্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে একদল উদ্ভাবনী গবেষক ও প্রয়োজনীয় গবেষণাগার। কৃতি গবেষকদের সাফল্যের স্বাক্ষর উন্নত জাতের এই কলা উদ্ভাবন। আগামী দিনে এই কলা এতদঞ্চলের পুষ্টির চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলাম বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যে উন্নত জাতের কলা উদ্ভাবন করেছে তা অন্যদেরও উদ্ভাবনী গবেষণায় অনুপ্রাণিত করবে। আগামীতেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশ তথা বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

গবেষক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, সনাতন পদ্ধতিতে কলা উৎপাদন বেশি সময় সাপেক্ষ এবং অলাভজনক। তাই টিস্যু কালচারের মাধ্যমে নতুন জাতের চারা উদ্ভাবন করা হয়েছে। ফলে কৃষকেরা অল্প সময়ের মধ্যে এসব কলা চাষাবাদ অধিক লাভবান হওয়ার সুযোগ পাবেন। এছাড়া লাল জাতের কলার পুষ্টিগুণ সাধারণ কলার চেয়ে অনেক বেশি। কেননা এতে থাকা বিটা-ক্যারোটিন নামক রঞ্জুক পদার্থ রাতকানা রোগ ও ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।

আরও পড়ুন: রাবিতে বেড়েছে চোখ ওঠার প্রকোপ, সুরক্ষিত থাকতে ৫ পরামর্শ

এসময় অনুষ্ঠানে প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং আমন্ত্রিত কৃষকগণ উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ল্যান্ট মলিকুলার বায়োটেকনোলজি ল্যাবে বিগত ৫ বছর গবেষণা করে টিস্যু কালচার পদ্ধতি এসব উন্নত কলার জাত উদ্ভাবন করেন প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। মেহের সাগর, রঙিলা সাগর, জি৯, অগ্নীশ্বর বা লাল ও শবরি জাতের এসব  কলা রোপনের ৬-৭ মাসের মধ্যে মোচা বের হয়। ফলে সাধারণ পদ্ধতির চেয়ে কৃষকরা ৩০-৪০ শতাংশ বেশি লাভবান হতে পরবেন।


সর্বশেষ সংবাদ