ঢাবির ‘খ’ ইউনিটে সফল হতে ১৫ কৌশল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়   © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ ভর্তি আবেদন কিছুদিন পরই শুরু হবে। এ সময়ে একজন ভর্তিযোদ্ধা হিসেবে তোমাদের যেসব কাজ করতে হবে___

১. কোন বিষয়েরই এমন কোন টপিক হাতে নেওয়া যাবে না, যা এর আগে তুমি কখনোই পড়োনি।

২. প্রতিটি বিষয়ের যে সমস্ত আলোচনা তুমি পড়ে রেখেছো, তার মধ্যে কোন সমস্যা থাকলে তা যে কোনোভাবে সমাধান করে নিতে হবে৷ যা পড়েছো তার মাঝে কোন কনফিউশন রাখা যাবে না।

৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নব্যাংক সমাধান করে ফেলতে পার। এর মধ্যে অন্তত ৮০ ভাগ প্রশ্নের উত্তরই তোমার জানার কথা। বাকি ২০ ভাগ প্রশ্ন দেখে নিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের ব্যাখ্যা দেওয়া আছে অবশ্যই এমন কোন প্রশ্নব্যাংক অনুসরণ করতে হবে। ব্যাখ্যার মধ্যে উল্লেখ করা তথ্যগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রশ্নব্যাংক দেখার ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন- বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে পুরাতন সিলেবাসের থেকে দেওয়া প্রশ্নগুলো স্কিপ করতে হবে। ইলেকটিভ ইংলিশ এর প্রশ্ন তোমার জন্য না। তুমি যদি ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে এসে থাকো, তাহলেই কেবল ইলেকটিভ ইংলিশ এর প্রশ্ন তুমি পড়বে। সাধারণ জ্ঞানে তখনকার সময়ের সাম্প্রতিক হিসেবে আসা প্রশ্নগুলো স্কিপ করতে হবে৷

৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গল্পের লেখক বা কবিতার কবি সম্পর্কে তেমন কোন প্রশ্ন থাকে না। তাই আমার ব্যক্তিগত মতামত এ বিষয়গুলো স্কিপ করা বরং ভালো।

৪. ইংরেজি প্রথমপত্র বইয়ে প্রতিটি লেসনের শেষে কিছু টাস্ক থাকে। যেমন- Sentence Making, Parts of Speech Transformation, Fill in the Gaps, Paragraph Writing ইত্যাদি। এ ধরনের বিষয়গুলো একটা গাইড ফলো করে অবশ্যই দেখে যেতে হবে।

৫. বাংলা প্রতিটি গল্প-কবিতার শব্দার্থ একবার দেখে ফেলা ভালো।

৬. সাম্প্রতিকের জন্য কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স দেখতে পারো। এছাড়াও বাজারে সাম্প্রতিকের জন্য যে সমস্ত ছোট ছোট বই পাওয়া যায়, তাও দেখতে পারো। তবে সর্বশেষ যে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স বের হবে তা অবশ্যই দেখতে হবে।

৭. বাজারে অসংখ্য ভালো মানের মডেল টেস্ট-এর বই পাওয়া যায়। এগুলো সলভ করা ইফেক্টিভ। তোমার প্রস্তুতি ভালো থাকলে এ রকম একটা বই সলভ করতে খুব বেশি সময় লাগার কথা না। এ রকম মডেল টেস্টের ৪/৫টি বই সলভ করা খুবই ফলপ্রসূ।

৮. সাধারণ জ্ঞানের জন্য বেশি বেশি এমসিকিউ প্রশ্ন দেখা ভালো। এতে করে মনে রাখতে সুবিধে হয়।

৯. লিখিত নিয়ে এত বেশি চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। কোন একটা ভালো বই থেকে প্রশ্নের ধরণগুলো দেখা যায়। আর হাতে পর্যাপ্ত সময় পাওয়া গেলে এগুলো প্র্যাকটিস করতে হবে, অন্যথায় প্রয়োজন নেই। বেসিক ভালো না থাকলে লিখিততে এভাবে ভালো করা সম্ভব নয়।

১০. বাংলার মুখস্থের বিষয়গুলো (সমার্থক শব্দ, বাগধারা, পারিভাষিক শব্দ, এককথায় প্রকাশ প্রভৃতি) এমন একটা বই থেকে দেখবে যেখানে প্রচুর এমসিকিউ দেয়া আছে।

১১. ঠিক সময়ে এডমিট কার্ড বের করে নিতে হবে। একাধিক কপি সংগ্রহে রাখা নিরাপদ এবং সফট কপি নিজের ফোনে ডাউনলোড করে রাখবে।

১২. পরীক্ষার ১/২ দিন আগে নিজের সিট কোথায় তা ক্লিয়ার হয়ে যেতে হবে।

১৩. পরীক্ষার দিন ভর্তি পরীক্ষার এডমিট কার্ডের পাশাপাশি এইচএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ডের মেইন কপি অবশ্যই সাথে রাখতে হবে।

১৪. প্রশ্ন দাগানোর সময় ভালোভাবে প্রশ্ন নাম্বার এবং ওএমআর-এর প্রশ্ন নাম্বার মিলিয়ে নিতে হবে।

১৫. প্রশ্ন ভালো করে পড়তে হবে। ‘হয়’ লিখেছে নাকি ‘নয়’ লিখেছে, তা ভুল করা যাবে না।

লেখক: শারমিন খাতুন

শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  


সর্বশেষ সংবাদ