ঢাবির ভর্তি প্রস্তুতিতে শেষ সময়ে যেসব বিষয় লক্ষণীয়
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২০ মে ২০২২, ০৮:০১ PM , আপডেট: ২০ মে ২০২২, ০৮:০১ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শেষ। আর কিছুদিন পরেই ভর্তি পরীক্ষা। ‘বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যুদ্ধ’-এ জয় পেতে শেষ সময়ে মানতে হবে কিছু বিষয়। প্রয়োজন সঠিক প্রস্তুতি। না হলে ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়া অনেক কঠিন। জেনে নেওয়া যাক, শেষ সময়ে কিভাবে নেবেন ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি …
সময় ব্যবস্থাপনায় জোর দেওয়া: সফলতা অনেকটা নির্ভর করে অল্প সময়ে সঠিক উত্তর দেওয়ার যোগ্যতার ওপর। এজন্য প্রয়োজন প্রচুর অনুশীলন। তাই বিভিন্ন অধ্যায়ের ওপর শর্টকাট টেকনিক অবলম্বন ও প্রয়োজনে বাড়িতে বসে সময় দেখে পরীক্ষা দেওয়া জরুরি।
বেশি বেশি মডেল টেস্ট দেওয়া: ‘Practice makes a man perfect’। ভর্তি যুদ্ধে এর প্রমাণ হাড়ে হাড়ে পাওয়া যায়। যত বেশি অনুশীলন ও মডেল টেস্টে অংশ নেওয়া যাবে, ভর্তিযুদ্ধে সফলতার সম্ভাবনাও তত বেশি বেড়ে যাবে। সুতরাং, ভর্তিযুদ্ধে নিজেকে এগিয়ে রাখতে বেশি বেশি মডেল টেস্ট দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
প্রশ্নব্যাংক সমাধান: বিগত বছরের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নব্যাংক সমাধান করতে হবে। এর মাধ্যমে পরীক্ষায় কি কি প্রশ্ন আসে, তা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।
মনোযোগ বৃদ্ধি: পড়ার সময় মনোযোগী হওয়ার বিকল্প নেই। পড়াশোনা করার জন্য উপযোগী স্থান ও সময় নির্বাচন করে হবে। ভোরবেলার শান্ত পরিবেশ পড়াশোনা করার জন্য আদর্শ সময়। বেশি পড়ার চেয়ে ভালোভাবে পড়ছো কি না, সেটার ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে সব সময়।
আত্মবিশ্বাসী হওয়া: বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কোনো অংশেই যুদ্ধ থেকে কম নয়। যুদ্ধজয়ের অন্যতম মূলমন্ত্র সব সময় আত্মবিশ্বাসী থাকা। মোটেই হতাশ হওয়া যাবে না। নিজের আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে এগিয়ে চলতে হবে। স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হওয়া: এ সময়ে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে অনেক চাপে থাকে। একজন ভর্তি পরীক্ষার্থীর দৈনিক ৬-৭ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। নিয়মিত পানি পান করতে হবে। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও দুর্বল শরীর নিয়ে কোনো কাজ সঠিকভাবে করা সম্ভব নয়। তাই নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি হতে হবে যত্নশীল।
সময়ের সদ্ব্যবহার: এ সময়কে কোনোভাবেই অপচয় করা যাবে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অতিরিক্ত ব্যবহার ও গেইমের আসক্তিকে কমিয়ে আনতে হবে। অপ্রয়োজনে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা ও ঘুরাঘুরি করার প্রবণতাকে কমিয়ে আনা উচিত।