ঢাবিতে চান্স হলেও যে ভুলে চবিতে চান্স হয়নি আমার

চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্ন থেকে কমন আসে।
চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্ন থেকে কমন আসে।  © সংগৃহীত

২০১৬ সালের কথা— ভর্তি কোচিং-প্রাইভেট, কোন কিছুই কমতি রাখিনি পাবলিকে চান্স পাওয়ার জন্য। মানবিক বিভাগের ছাত্র ছিলাম বলে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবিক বিভাগ, আইন বিভাগ এবং সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে আবেদন করি এবং পরীক্ষা দেই। তিনটি বিভাগেই মোটামুটি ভাল নাম্বার পেয়েছিলাম এবং দুই বিভাগে মেরিট লিস্টে খুব কাছাকাছি ছিলাম। যারা ঢাবিতে চান্স পায়নি, এমন অনেকেই চবিতে চান্স পেয়েছে। অথচ, আমি একটা বিষয়ও পেলাম না! যদিও ঢাবির কলা অনুষদের চান্স পাওয়ায় চবিতে না টেকায় তেমন কষ্ট পাইনি। তবে আমি খুঁজে বের করেছিলাম আমার দূর্বলতা।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি টিপস

সেটি ছিল — আমার চাইতে দূর্বল শিক্ষার্থীরা আমার চেয়েও ভাল ফলাফল কারণ ছিল তাদের প্রস্তুতির কৌশল। তারা সিনিয়রদের থেকে পরামর্শ নিয়ে জানতে পেরেছিল যে, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্ন থেকে কমন আসে প্রায় ৬০ শতাংশের কাছাকাছি। তাই শুধু বেইসিক পড়ে আমার ৮০ শতাংশ কমন পড়লেও অন্যদের হয়তো কমন পড়েছে ৮৫-৯০শতাংশ প্রশ্ন। তাই তিনটি বিভাগেই মেরিট লিস্টে থাকতে পারলেওে চান্স হয়নি আমার। তবে ঢাবিতে চান্স পেয়েছিলাম বলে তেমন কষ্ট অনুভব হয়নি। 

আরও পড়ুন:  ঢাবি-জাবি-রাবি-চবি কিংবা গুচ্ছ— ইংরেজিতে ভাল নম্বর পাওয়ার কৌশল

তাই তোমাদের প্রতি অনুরোধ, জ্ঞানের সাথে আগ্রহ, প্রজ্ঞা এবং যোগাযোগের মিশ্রণ ঘটাও, সফল হবে; ইন-শা-আল্লাহ।

লেখক:  শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


সর্বশেষ সংবাদ