ঢাবি ভর্তিযুদ্ধ: লক্ষ্য যাদের ‘ক’ ইউনিট
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:৪৬ AM , আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:৪৬ AM
বিজ্ঞান অনুষদের ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আগামী ১ অক্টোবর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিযুদ্ধ শুরু হচ্ছে। হাতে দুই সপ্তাহের বেশি সময় আর নেই। এই পরীক্ষাকে ঘিরে ভর্তিচ্ছুদের যেমন সুদূরপ্রসারী স্বপ্ন রয়েছে, তেমনি তাদের পরীক্ষার দিন যত ঘনিয়ে আসছে উৎকণ্ঠা বা ভয়ের পরিমাণ ততই বেড়ে চলেছে।
কী পড়বো না পড়বো, কীভাবে পড়লে সীমিত এই সময়ের মধ্যে পুরো প্রস্তুতি সম্পন্ন করা যাবে বা পরীক্ষার নির্দিষ্ট সময়টাকে কীভাবে সর্বোচ্চ কাজে লাগানো যাবে; এ ধরণের নানা প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকেই হয়তো সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবে এখনো প্রস্তুতিতে পুরোপুরি মনঃসংযোগ করতে পারছেন না।
মনে রাখতে হবে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বাধিক সংখ্যক বিষয় অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স, ফার্মেসি, মাইক্রোবায়োলজি, ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োকেমিস্ট্রির মতো সাবজেক্টগুলোর চাহিদা দেশের চাকুরির বাজারে বেশ আকাশচুম্বী।
অন্যবারের তুলনায় এবার ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ধরন একটু আলাদা। তাই এবারের ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষায় সফলতা পেতে প্রস্তুতিও নিতে হবে ভিন্নভাবে।
করোনার কারণে ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। তাই এবার ঢাবি ভর্তিতে ফলাফলের ওপর নম্বর খুবই কম। ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে যে মেধাস্কোর করা হবে তার মধ্যে এসএসসি এবং এইচএসসির ফলাফলের ওপর নম্বর থাকবে মাত্র ২০ নম্বর।
ফলে কেউ যদি এসএসসি বা এইচএসসি পর্যায়ে ফলাফল আশানুরূপ না করতে পারলেও ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে পারলে মেধা তালিকায় তার স্থান হবে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন পূরণ হবে তার। তাই মহামারীর কারণে এইচএসসি পরীক্ষা না হওয়ায় হতাশ না হয়ে, ভাগ্যের দোষ না দিয়ে শেষ মুহুর্তে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে মনোযোগ দিতে হবে।
এমসিকিউ প্রশ্নের জন্য প্রস্তুতি
এবার ভর্তি পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরের। এরমধ্যে ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত। প্রতিটি বিষয়ে ১৫টি এমসিকিউ থাকবে। এমসিকিউয়ের প্রস্তুতির জন্য প্রতিটি বিষয়ের অধ্যায়গুলো ভাগ করে নিতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে বেশি জোর দিতে হবে।
পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের গতি; বল; কাজ, ক্ষমতা ও শক্তি; পদার্থের অবস্থা ও চাপ; বস্তুর ওপর তাপের প্রভাব, তরঙ্গ ও শব্দ, আলোর প্রতিফলন; আলোর প্রতিসরণ; স্থির বিদ্যুৎ; চল বিদ্যুৎ, বিদ্যুতের চৌম্বক ক্রিয়া ও আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক্স অধ্যায়সমূহ এমসিকিউ প্রশ্নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
রসায়ন বিষয়ের পদার্থের অবস্থা, পদার্থে গঠন, পর্যায় সারণি, রাসায়নিক বন্ধন, মলের ধারণা ও রাসায়নিক গণনা, রাসায়নিক বিক্রিয়া, এসিড-ক্ষারক সমতা, খনিজ সম্পদ : ধাতু-অধাতু, খনিজ সম্পদ : জীবাশ্ম ইত্যাদি অধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ।
গণিতে বাস্তব সংখ্যা, সেট ও ফাংশন, সূচক ও লগারিদম, এক চলকবিশিষ্ট সমীকরণ, বৃত্ত, ত্রিকোণমিতিক অনুপাত, দূরত্ব ও উচ্চতা, বীজগাণিতিক অনুপাত ও সমানুপাত, দুই চলকবিশিষ্ট সরল সহসমীকরণ, সসীম ধারা, ক্ষেত্রফল সম্পর্কিত উপপাদ্য ও সম্পাদ্য, পরিমিতি ও পরিসংখ্যান অধ্যায় গুরত্বপূর্ণ।
জীববিজ্ঞান বিষয়ের জীবকোষ ও টিস্যু, কোষ বিভাজন, জীবনীশক্তি, খাদ্য, পুষ্টি এবং পরিপাক, জীবে পরিবহন, গ্যাসীয় বিনিময়, রেচন প্রক্রিয়া, দৃঢ়তা প্রদান ও চলন, জীবের প্রজনন, জীবের বংশগতি ও বিবর্তন, জীবের পরিবেশ এবং জীবপ্রযুক্তি ইত্যাদি অধ্যায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি বিষয়ে ১০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। লিখিত পরিক্ষার প্রশ্ন সংক্ষিপ্ত উত্তরের উপযোগী হবে বলে এমসিকিউ প্রশ্নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়সমূহ লিখিত পরীক্ষার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তাই উল্লেখিত অধ্যায়গুলো লিখিত পরীক্ষার জন্যও ভালো করে পড়বে।