কিভাবে ভালো রাখবেন ল্যাপটপের ব্যাটারি হেলথ?

ল্যাপটপের ব্যাটারি হেলথ
ল্যাপটপের ব্যাটারি হেলথ  © সংগ্রহীত

ল্যাপটপের ব্যাটারি হেলথ কমে যাওয়া ব্যবহারকারীদের উদ্বেগের কারণের মধ্যে অন্যতম। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মোবাইল ও ল্যাপটপে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়। এই ব্যাটারিগুলো অধিক সময় চার্জ ধরে রাখতে পারে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে চার্জ হয়। তবে সময়ের সাথে সাথে ব্যাটারিগুলোর সক্ষমতাও কমতে থাকে। কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলেই লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিগুলো থেকে বেশিদিন সার্ভিস পাওয়া সম্ভব বলে জানা যায় মাইক্রোসফটের তথ্য থেকে। 

ল্যাপটপের চার্জ ২০% থেকে ৮০% এর মধ্যে রাখা
অনেকেই চার্জ একদম শেষ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকেন আবার চার্জ দিয়ে সম্পূর্ণ হওয়ার অপেক্ষা করেন। দু'টি কাজই ব্যাটারি হেলথের জন্য ক্ষতিকারক। মাইক্রোসফট বলছে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ২০% থেকে ৮০% এর মধ্যে রাখা উচিত। ২০% এর নিচে চলে গেলে চার্জে দিতে হবে এবং জরুরি প্রয়োজন না থাকলে ৮০% অতিক্রম করার পরপরই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে।

আরও পড়ুন: এইচএসসি পাসে চাকরির সুযোগ, নেবে ১০০ জন

বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা
ব্যবহারের সময় ল্যাপটপ থেকে তাপ উৎপন্ন হয় যা বের করার জন্য ডিভাইসে ফ্যান যুক্ত থাকে। বিছানা, বালিশ বা, অসমতল কোনো কিছুর ওপরে রেখে ল্যাপটপ ব্যবহার করলে ফ্যানটি বাতাস বের করতে ব্যর্থ হয়। সেক্ষেত্রে তাপের পরিমাণ বাড়তে থাকে যা ব্যাটারির জন্যও ক্ষতিকর। ল্যাপটপ ও ব্যাটারি উভয়ের স্বার্থেই বাতাস চলাচলের যথেষ্ট ব্যবস্থা রাখা জরুরি। 

দীর্ঘসময় ব্যবহার না করার সম্ভাবনা থাকলে চার্জ ৫০% এর নিচে রাখা
বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে দীর্ঘসময় ধরে ল্যাপটপ বন্ধ থাকে। এ সময় ব্যাটারির চার্জ সম্পূর্ণ থাকলে ব্যাটারির সক্ষমতা দ্রুত কমতে থাকে। চার্জ একদমই না থাকা অবস্থায় দীর্ঘসময় ল্যাপটপ অব্যবহৃত থাকাও ব্যাটারির সক্ষমতা হারানোর আরেকটি কারণ। সেক্ষেত্রে চার্জ ৫০% এর কিছুটা নিচে রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। 

অধিক তাপমাত্রায় চার্জ না করা
ল্যাপটপের তাপমাত্রা বেশি থাকার সময় ল্যাপটপ চার্জ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অধিক তাপমাত্রায় চার্জ করলে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির সেলের ক্ষতি দ্রুত হতে থাকে যা স্থায়ীভাবে ব্যাটারির ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।

আরও পড়ুন: আইএলটিএসে ৬ দশমিক ৫ নিয়েই অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ

এছাড়াও, ইউএসবি ড্রাইভ, প্রিন্টার বা ব্লুটুথ ডিভাইসের মত বাহ্যিক ডিভাইসসমূহ ব্যবহারের পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে। ল্যাপটপের ব্যাকগ্রাউন্ডে চলমান অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন এবং প্রসেসসমূহ বন্ধ রাখতে হবে। নির্দিষ্ট পর্যায়ে আরামদায়ক ব্রাইটনেস ব্যবহার করতে হবে। ল্যাপটপের পাওয়ার সেভিং বা ব্যাটারি সেভিং মোড ব্যবহার করতে হবে, তাহলে ল্যাপটপ ব্যাটারি যথেষ্ট ভালো থাকবে।


সর্বশেষ সংবাদ