সন্তানের ভালো চাইলে স্কুলের টিফিনে যে ৫ খাবার দেওয়া যাবে না

স্কুলশিক্ষার্থীদের টিফিন
স্কুলশিক্ষার্থীদের টিফিন  © ফাইল ছবি

ঝাল ছাড়া `চিলি চিকেন' খেতে ভালবাসে পাঁচ বছর বয়সী সুগত। সে কারণে ছেলের জন্য রাতের বেঁচে যাওয়া চিলি চিকেন ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলেন অবন্তী। স্কুলের টিফিনে নুডল্‌সের সঙ্গে এ খাবার দিলে ফিরে আসবে না। সুগতের মতো অনেকে টিফিনে এমন খাবার খেতে পছন্দ করে। অনেক অভিভাবক আছেন যাঁরা ঝক্কির ভয়ে ইনস্ট্যান্ট নুডল্‌স, কেক, বিস্কুট বা চিপ্‌স দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেন।

তাতে সময়ও বেশি লাগে না। আর বাচ্চাদের পছন্দের খাবারগুলি টিফিনে থাকলে, তা ফেরত আসার সম্ভাবনাও কম। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, স্কুলের টিফিনে এ জাতীয় খাবার দেওয়া সুবিধের হলেও তা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভাল নয়। শিশুরা খেতে ভালবাসলেও এমন পাঁচটি খাবার এড়িয়ে চলারই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

১. ইনস্ট্যান্ট নুডল্‌স

ময়দা ছাড়া এ জাতীয় খাবারের আর কোনও পুষ্টিগুণই নেই। গরম অবস্থায় খেলে এক রকম। কিন্তু ঠান্ডা হয়ে গেলে নুডল্‌স খেতেও খারাপ লাগে। চিকিৎসকেরা বলছেন, দু’মিনিটে তৈরি করা যায় এমন জিনিস থেকেই কিন্তু বাচ্চাদের হজমের গোলমাল হতে পারে।

২. ভাজা খাবার

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিপ্‌স, নাচোস-এর মতো মুখরোচক খাবার খেতে পছন্দ করে বাচ্চারা। তবে এ ধরনের খাবার থেকে শরীরে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট জমে। যা থেকে পরবর্তী কালে শিশুদের মধ্যে স্থূলত্বের সমস্যা দেখা দেয়।

৩. প্রক্রিয়াজাত খাবার

রান্না করার ঝামেলা থাকে না, তাই বিস্কুট, কেক, কুকি বা প্রক্রিয়াজাত অন্যান্য খাবার খাওয়ানোর প্রবণতা অভিভাবকদের মধ্যেও লক্ষ করা যায়। চিকিৎসকেরা বলছেন, এ জাতীয় খাবারে লবন এবং চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। যা পরবর্তীকালে নানা রকম সমস্যা ডেকে আনতে পারে।

৪. বেঁচে যাওয়া খাবার

খেতে ভালবাসে বলে রাতের বেঁচে যাওয়া খাবার বাচ্চার টিফিন বাক্সে ভরে দেবেন না। কারণ, খাবারটি যদি কোনও ভাবে যদি খারাপ হয়ে যায়, তা হলে সেই খাবার খেয়ে সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।

৫. মিষ্টিজাতীয় খাবার

টিফিনে মিষ্টিজাতীয় খাবার দিতেও বারণ করছেন চিকিৎসকেরা। বেশি মিষ্টি খেলে টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার পর ভাল করে মুখ না ধুলে বাচ্চাদের দাঁতের স্বাস্থ্যও খারাপ হতে পারে। আনন্দবাজার।


সর্বশেষ সংবাদ