এইচএসসি’র শুরু থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করেছি

মেফতাউল আলম সিয়ামও বুয়েটের লোগো
মেফতাউল আলম সিয়ামও বুয়েটের লোগো  © ফাইল ছবি

দেশের তিনটি প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়ে তাক লাগিয়েছিলেন বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থী মেফতাউল আলম সিয়াম। আইইউটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা হয়েছিলেন এইচএসসিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়া এই মেধাবি।

বর্তমানে তিনি অধ্যায়নরত আছে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগে। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার দাড়িদহ গ্রামে। তবে বাবা-মার সাথে থাকতেন শহরের রহমান নগর এলাকায়।

সম্প্রতি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের এক সাক্ষাৎকারে সিয়াম তার সফলতার গল্প শুনিয়েছেন। তার কথাগুলো শুনেছে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সাগর হোসেন। 

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনি কেমন আছেন? আপনার শৈশব কেটেছে কোথায়। 
মেফতাউল আলম সিয়াম: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমার গ্রামের বাড়ি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার দাড়িদহ গ্রামে। কিন্তু পরিবারসহ শহরের রহমান নগর এলাকায় থাকি। 

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বর্তমানে আপনার একাডেমিক পড়ালেখা কেমন চলছে? 
মেফতাউল আলম সিয়াম: বুয়েটে আমদের প্রথম সেমিস্টার অনলাইনে হয়েছে। শুধুমাত্র টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা অফলাইনে হয়েছে। সেশনজট ঠেকাতে আমাদের প্রথম সেমিস্টার অনেক দ্রুত শেষ হয়েছে, তাই পড়াশোনা নিয়ে অনেক চাপে ছিলাম। 

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার লাইফ স্টাইল সম্পর্কে কিছু বলুন।

মেফতাউল আলম সিয়াম: আমার লাইফ স্টাইলে বিশেষ কিছু নেই। সময়ের কাজ সময়ে করতে পছন্দ করি। চেষ্টা করি আজকের কাজ আগামী দিনের জন্য ফেলে না রাখতে। অবসর সময়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা, খেলাধুলা, বই পড়া, পরিবারের সাথে সময় কাটাতে ভালো লাগে। মাঝে মাঝে শখের বশে টুকটাক ফটোগ্রাফি করি। 

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনি যে সফলতা অর্জন করেছিলেন তার পেছনে কার অনুপ্রেরণা ছিলো বলে মনে করেন। 
মেফতাউল আলম সিয়াম: আমার সাফল্যের পেছনে আমার মায়ের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। বাবার অবদানও কম নয়। আমার লেখাপড়ার হাতেখড়ি মায়ের কাছ থেকে শুরু হয়। সেই ছোটবেলায় মা যেভাবে জীবনে চলতে শিখিয়েছে এখনও জীবনে সেটার অনুসরণ করার চেষ্টা করি। 

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি কেমন ছিলো? 
মেফতাউল আলম সিয়াম: আমার ভর্তি পরীক্ষার জার্নিটা অনেক লম্বা ছিল। করোনার কারণে কিছুদিন পরপরই পরীক্ষার ডেট পেছানো হতো। এইচএসসি’র শুরু থেকেই সব বিষয় সমান গুরুত্ব দিয়ে পড়তাম যার কারণে ভর্তি পরীক্ষার জন্য মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং প্রস্তুতি একসাথে নিতে কোনো অসুবিধা হয় নি। আসলে কখনও সেভাবে হিসাব করিনি যে দিনে কতঘন্টা পড়েছি। চেষ্টা করতাম প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করতে। 

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি? 
মেফতাউল আলম সিয়াম: আমি বর্তমানে বুয়েটে ইইই ডিপার্টমেন্ট এ অধ্যয়নরত আছি। নতুন কিছু শিখতে বা নতুন কোনো বিষয় নিয়ে কাজ করতে আমার ভালো লাগে। তাই ভবিষ্যতে নিজেকে একজন গবেষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে বিশ্বে অবদান রাখতে চাই।