বুয়েট-ঢাবি-মেডিকেলে চান্স পেলেন একই কলেজের ১৪০০ শিক্ষার্থী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২২, ০৭:৫৪ PM , আপডেট: ১২ জুলাই ২০২২, ০৮:০৫ PM
রাজধানীর নটরডেম কলেজ থেকে ১৪০০ শিক্ষার্থী বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এর মধ্যে বুয়েটে সুযোগ পেয়েছেন ৪০০, ঢাবিতে ৫০০ এবং মেডিকেলে ৫০০ এর অধিক শিক্ষার্থী সুযোগ পেয়েছেন।
নটরডেম কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক শুভাশিস সাহা ও চান্সপ্রাপ্ত একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বুয়েটে চান্সপ্রাপ্ত প্রথম ৫০ জনের মধ্যে ২৫ জনই নটরডেম কলেজের। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথমস্থান অধিকার করা আসীর আনজুম খান নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী। এছাড়া চতুর্থ, ৬ষ্ঠ, সপ্তম, নবম ও দশম স্থান অধিকারকারীরাও নটরডেমের শিক্ষার্থী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটে প্রথম, দ্বিতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান অধিকারকারীরা নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী। এছাড়া ঢাবির ‘গ’ ইউনিটে প্রথম, ৮ম; ‘ঘ’ ইউনিটে মানবিকে প্রথম এবং ‘খ’ ইউনিটে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান অধিকার করা শিক্ষার্থীও নটরডেম কলেজের।
জানতে চাইলে শুভাশিস সাহা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রতি বছরই আমাদের কলেজ থেকে অসংখ্য শিক্ষার্থী দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। কতজন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তার সঠিক সংখ্যা বের করা যায় না। তবে আমরা চান্সপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তার একটা ধারণা পেয়ে থাকি।
তিনি জানান, আমার কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী চলতি শিক্ষাবর্ষে আমাদের ৯০০ এর অধিক শিক্ষার্থী বুয়েট এবং মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এছাড়া আইইউটিতে ভর্তির সুযোগ পাওয়া প্রথম ১০ জনের নয়জনই নটরডেমের। এটি আমাদের জন্য অনেক গর্বের বিষয়।
নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থীদের এমন সফলতার বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজটির অধ্যক্ষ ফাদার হেমন্ত পিউস রোজারিও দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের কঠোর অনুশাসনের কারণে শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে ভালো করছে। আমরা ক্লাসে তাদের এমন ভাবে পাঠদান করাই যেন তাদের কোচিং বা প্রাইভেট পড়তে না হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের পুরো সিলেবাস একেবারে পড়তে দেইনা। পুরো সিলেবাসকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে সেগুলো তাদের পড়াই। প্রতি সপ্তাহে তাদের দুটি করে ক্লাস টেস্ট হয়। এই পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের তৈরি করে নেয়। ফলে ভর্তি পরীক্ষার সময় তাদের খুব একটা সমস্যা হয় না।