‘ইকো-কানেক্ট’ উদ্ভাবন করে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আমন্ত্রণ পেলেন ৫ শিক্ষার্থী 

টিম ভিরিডিয়ানের পাঁচ সদস্য
টিম ভিরিডিয়ানের পাঁচ সদস্য  © সংগৃহীত

টেকসই শহর গড়ে তোলার জন্য 'ইকো-কানেক্ট' প্রকল্প উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশের কলেজে পড়ুয়া পাঁচ শিক্ষার্থী। ঘনবসতিপূর্ণ শহরের পরিবেশ রক্ষায় এবং কংক্রিটের শহরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ও সবুজায়নে ভূমিকা রাখবে টিম ভিরিডিয়ানের এ প্রকল্পটি। 

পাঁচ সদস্যের টিম ভিরিডিয়ানের দলনেতা সামিহা সুলতানা জাহিন হালিশহর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন দেশের চারটি শহরের কলেজ পড়ুয়া আরো চারজন সদস্য।

চট্টগ্রাম থেকে এ-লেভেল শিক্ষার্থী সাবিহা উলফাত, নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সাবরুকা মাহাবুব, ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী মুশফিকুজ্জামান মাহিম ও কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আনিকা আকরাম অর্পি।

বিআইইএ যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত (এসটিইএম) জনপ্রিয়করন সংস্থা। প্রতি বছর এ প্রতিযোগিতাটি তরুণদের অভিনব চিন্তাকে প্রাধান্য দিয়ে বৈশ্বিক পরিবেশের বিভিন্ন সমস্যার উন্নততর সমাধান উদ্ভাবনকে স্বীকৃতি প্রদান করে। 

সংস্থাটির ২০২৩ প্রতিযোগিতার আউটস্ট্যান্ডিং এ্যাওয়ার্ড তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের একটি মাত্র দল ‘টিম ভিরিডিয়ান’। এ বছরের প্রতিযোগিতার আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট হাউসে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে দলটি। এবারের প্রতিযোগিতার প্রতিপাদ্য ছিল ‘টেকসই শহর গড়ে তোলার জন্য সমাধান উদ্ভাবন’।

টিম ভিরিডিয়ানের সদস্যরা টেকসই শহর গড়ে তুলতে উদ্ভাবন করেছে এই ‘ইকো কানেক্ট’ প্রকল্পটি। যা একই সঙ্গে সরকার, কর্পোরেট অফিসার ও সাধারণ জনগণকে একত্রিত করে শহর সবুজায়নে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখবে। প্রকল্পটি মূলত মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে সচেতন নাগরিকদের সহযোগিতায় পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখবে।

দলনেতা সামিহা সুলতানা জাহিন বলেন, আমাদের প্রকল্পটি বাস্তবভিত্তিক এবং স্বল্প খরচে বাস্তবায়নযোগ্য- যা বাংলাদেশের বর্তমান তাপ নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। শহরের খালি জায়গায় গুলোতে বৃক্ষরোপণ করে আমরা এটি বাস্তবায়ন করবো। আমরা এ বিষয়ে এক্সপার্টদের সহযোগিতা নেব, কোন জায়গায় কি ধরনের বৃক্ষ উপযোগী তা বিবেচনা করে এটি করা হবে। 

তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে এই প্রজেক্টটির আইইউবি কর্তৃক আয়োজিত গ্রিন জিনিয়াস সিজন ৪ প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ড পর্যন্ত স্বীকৃতি পেয়েছিল। পরবর্তীতে বিআইইএ-২০২৩ প্রতিযোগিতা শুরু হলে সেখানে অংশগ্রহণ করি। আমাদের এ পরিকল্পনায় বিশেষ সহযোগিতা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে এ প্রতিযোগিতার সেকেন্ড রানার্সআপ হয় বাংলাদেশের একটি দল। প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত হতে সম্ভাবনাময় তরুণদের ৫০০টির মতো দল এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।


সর্বশেষ সংবাদ