সনজিতের প্রিয় ব্যক্তিত্বের তালিকায় বঙ্গবন্ধু-মোদি-আহমেদিনেজাদ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, নরেন্দ্র মোদি, ভ্লাদিমির পুতিন ও মাহমুদ আহমেদিনেজাদ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, নরেন্দ্র মোদি, ভ্লাদিমির পুতিন ও মাহমুদ আহমেদিনেজাদ  © সংগৃহীত

নিজের পছন্দের ৪ ব্যক্তির নামের তালিকা প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। সে ছবি তিনি নিজের কক্ষে পেইন্টিং করে ঝুলিয়ে রেখেছেন। ওই তালিকায় বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবির পাশেই স্থান পেয়েছে ভারতের বর্তমান (১৪তম) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপরে আছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদ।

সম্প্রতি তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকের কভার ছবি হিসেবে ওই ৪ ব্যক্তির ছবিটি প্রকাশ করেন। ছবিটির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার প্রিয় চার ব্যক্তিত্ব। আজ নিজ রুমে এই পেইন্টিংটা টানালাম।’’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। শুরুতে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি, এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে বাংলাদেশের “জাতির জনক” বা “জাতির পিতা” হিসেবে অভিহিত করা হয়।

নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে ২০১৯ সালের ৩০ মে শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের কার্যকাল শুরু হয়।‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিসওয়াস’ – এই মন্ত্রে অনুপ্রাণিত হয়ে মোদি প্রশাসনিক ব্যবস্থায় এমন এক পরিবর্তন এনেছেন।

রাশিয়ার অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ভ্লাদিমির পুতিন। গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশটির  ক্ষমতাধর নেতা হচ্ছেন তিনি। রাশিয়ায় অনেক তরুণ ভোটার আছেন, যারা তাদের জীবনে ভ্লাদিমির পুতিন ছাড়া আর কাউকে দেশটির নেতা হিসেবে দেখেননি। দেশের বাইরে যুদ্ধ চালিয়েছেন, দেশের ভেতরে পেনশন ব্যবস্থার সংস্কার করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: আমরা রাজপথের পুরাতন খেলোয়াড়: ওবায়দুল কাদের

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদকেও সবাই চেনেন। অনেকেই আহমাদিনেজাদকে চেনেন একজন পশ্চিমাবিরোধী বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর হিসাবে। পশ্চিমা পত্রিকাগুলোতে আহমাদিনেজাদকে ফায়াব্রান্ড লিডার বলা হয়। কিন্তু এর বাইরেও আহমাদিনেজাদের আরও একটা পরিচিতি আছে- তা হল তার ব্যক্তিগত সহজ সরল জীবন যাপন যা আধুনিক বিশ্বের যে কোন দেশের প্রেসিডেন্টকেও হার মানায়।

সনজিত চন্দ্র দাস তার ফেসবুকে নিজের পছন্দের প্রিয় চার ব্যক্তিত্বের তালিকা প্রকাশের পর অনুসারীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ছবির কমেন্ট সেকশনে অনেকে সনজিতের পছন্দের ব্যক্তিদের প্রশংসা করেছেন। আরেকটি অংশ বিশেষ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদির সমালোচনা করেছেন। সনজিতের একটি অংশের অনুসারীরা মোদির সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ছবিটি ভালোভে নিতে পারেননি।

সনজিত চন্দ্র দাস ২০১৯ সালের ৩০ মে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর কমিটিতে তিনি সভাপতির দায়িত্ব পান। সংগঠনটির ২৯তম সম্মেলনের প্রায় এক বছরের পর এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।


সর্বশেষ সংবাদ