ঢাবির মধুর ক্যান্টিনের সামনে এরশাদের জন্মদিন পালন
সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৯৩তম জন্মদিন আজ। রবিবার (২০ মার্চ) প্রথম প্রহরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে কেক কেটে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসাইন মুহম্মদ এরশাদের জন্মদিন পালন করেন ঢাবি শাখা জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতৃবৃন্দরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোখলেছুর রহমান বস্তু। অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহবায়ক ফকির আল মামুন, সদস্য সচিব আবু সাঈদ লিয়ন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান, যুগ্ম আহবায়ক গোলাম রব্বানী, কমিটির সদস্য ফরহাদ হোসেন ও অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: প্রতিটি বিভাগেই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠনটির রাজনীতি করার অনুমোদন নেই। তারপরও কীভাবে ক্যাম্পাসে তারা কর্মসূচি পালন করে এ নিয়ে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী জানিয়েছেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির মোবাইল কোর্ট প্রেরণ করেছি। মধ্য রাতে এ ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে। যদি কিছু ঘটে তাহলে তাদেরকে সব দায়দায়িত্ব নিতে হবে। এছাড়া তারা কর্মসূচি পালনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোন ধরনের অনুমতিও নেয়নি। এমন স্বৈরাচারী আচরণের জন্যই দলটির বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি করার অনুমোদন নেই বলেও জানান তিনি।
সাবেক এ রাষ্ট্রপতি ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন পান ১৯৫২ সালে। ১৯৭৫ সালের ২৪ আগস্ট তিনি মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হন। এরপর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদ থেকে রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন এরশাদ। ১৯৮৬ সালে তার প্রতিষ্ঠিত দল জাপার প্রার্থী হিসেবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: চাঁদা না দেওয়ায় ৭টি দোকান বন্ধ করে দিলেন ঢাবি ছাত্রলীগের ২ নেতা
দেশের রাজনীতিতে নানা কারণে আলোচিত ছিলেন পল্লীবন্ধু এরশাদ। তিনি দেশে প্রথম উপজেলা পদ্ধতি চালু করেন। এছাড়া রাজনীতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন তার আমলে দেশের অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নতি সাধন হয়। বিশেষ করে রাস্তা-ঘাট। কিন্তু বিরোধীদলগুলোর লাগাতার আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তিনি ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান । এরপর গ্রেফতার হয়ে ছয় বছর কারারুদ্ধ ছিলেন। ১৯৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। কারাগারে থাকাকালীনও তিনি নির্বাচন করে পাঁচটি আসনে জয়ী হয়েছেন। জেলে থেকে নির্বাচনে জয়লাভ এবং কোনো নির্বাচনে না হারার রেকর্ডও আছে তার।
তবে লক্ষ্য করার বিষয় ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দলটি প্রতিটি সংসদেই প্রতিনিধিত্ব করেছে। পাশাপাশি ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদের নির্বাচনের পর সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে দলটি।
প্রসঙ্গত, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৩০ সালের ২০ মার্চ রংপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। অবশ্য মৃত্যুর আগেই তিনি দলের দায়িত্ব ছোট ভাই জি এম কাদেরের হাতে তুলে দেন।