ঢাবির দুই হলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ ছাত্রলীগের, ক্ষোভ

দুই হলের নাম থেকে মুসলিম শব্দ বাদ
দুই হলের নাম থেকে মুসলিম শব্দ বাদ  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি হলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হল কমিটি ঘোষণা করে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে নাম বিকৃতির ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের নাম থেকে জিয়াউর রহমান নামও বাদ দেয়া হয়েছে। লেখা হয়েছে ‘মুক্তিযোদ্ধা হল’। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

যদিও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, হলের নাম সংক্ষিপ্ত করে লেখার কারণেই মুসলিম শব্দটি বাদ পড়েছে। বিষয়টি ইচ্ছাকৃত নয়।  যদিও ‌‘শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল,’ ‌ ‘কবি জসীম উদ্ দীন হল,’ ‌‘স্যার এ. এফ. রহমান হল,’ ‘বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল,’ ও ‘ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্’ হলগুলোর নাম আরও বড় হলেও বিজ্ঞপ্তিতে কেন সংক্ষিপ্ত করা হয়নি- এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন, সংক্ষিপ্ত করে লেখার কারণে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ পড়েছে। এ বিষয়ে ভিন্ন কোনো ব্যাখ্যা দেননি তিনি।

বিজ্ঞপ্তি ঘেঁটে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্যাডে দেয়া কমিটিতে অনুমোদন দিয়ে স্বাক্ষর করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। বিজ্ঞপ্তিতে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের জায়গায় মুক্তিযোদ্ধা হল, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের জায়গায় শুধু ‘সলিমুল্লাহ হল’ ও ফজলুল হক মুসলিম হলের জায়গায় ‘ফজলুল হক হল’ লেখা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, হল তিনটির নাম লিখা রয়েছে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, ফজলুল হক মুসলিম হল ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল হিসেবে। এছাড়া হলের বিজ্ঞপ্তি, বিভিন্ন ডকুমন্টেস ও শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ডের পূর্ণাঙ্গ নাম লেখা হয়।

আরও পড়ুন- ঢাবি ছাত্রলীগের ১৮টি হলে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হলেন যারা

হলের নাম বিকৃতির বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রাকিবুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে নিজের ওয়ালে লিখেন, ‘‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাবি কমিটির লিখিত প্যাডে প্রতিটা হলের সম্পূর্ণ নাম থাকলেও ‘সলিমুল্লাহ মুসলিম হল’, ‘ফজলুল হক মুসলিম হল’ গুলোর ক্ষেত্রে তারা মুসলিম শব্দটি ইচ্ছে করে বাদ দিয়ে চরম লেভেলের হিপোক্রেসির প্রমাণ দিয়েছে। যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো পূর্ব বাংলার মুসলিম জনতার পিছিয়ে যাওয়া রোধ করে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হল কমিটি থেকে মুসলিম শব্দটা বাতিল করে দেওয়া কি চরম লেভেলের মুসলিম বিদ্বেষ নয়?’’


সর্বশেষ সংবাদ