ঢাবি ছাত্রলীগের হল কমিটিতে আলোচনায় যারা
প্রায় ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হল সম্মেলন। আগামী ৩০ জানুয়ারি এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে হলগুলোতে কর্মীসভা করেছে সংগঠনটি। সম্মেলনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলের কমিটি ঘোষণা করবে শাখা ছাত্রলীগ। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়েছিল। কমিটিতে যোগ্য ও বিতর্কমুক্তদের স্থান দেয়া হবে বলে জানান শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস।
হল সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস রয়েছে। গঠন করা হয়েছে হল সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিও। হল সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চার নেতাও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন- ভর্তিচ্ছুদের সব ধরণের সহযোগিতা করবে ঢাবি ছাত্রলীগ
এদিকে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। প্রতিদিনই মধুর ক্যান্টিনে অনুসারীদের নিয়ে পদপ্রত্যাশীদের চলছে শোডাউন। ক্যাম্পাসে ও হলে মিছিল করে জানান দিচ্ছেন নিজেদের শক্তিমত্তারও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল কমিটিগুলোতে ভাগ নেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও। অতীতে দেখা গেছে কমিটিগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ দুই নেতা ও কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতা একসাথে বসে কমিটি করেন। প্রতিটি হলেই চারজনের আলাদা আলাদা গ্রুপ ও একাধিক প্রার্থী রয়েছে। ১৮টি হলে নেতৃত্বে আসতে তিনশত জনের বেশি পদপ্রত্যাশী তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছে।
পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে শাকিল আহমেদ, শেখ জামী, তানিমুল ইসলাম চৌধুরী ইরফান ও সিফাতউজ্জামান খান। তারা কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী হিসেবে আছেন আকমল হোসেন, ইসরাফিল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন, মাহবুবুর রহমান, মেহেদী হাসান সাইফুল, তানসেন শেখ, জাফরুল ইসলাম সৈকত ও আল আমিন হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী হিসেবে আছেন মেহেদি হাসান শান্ত ও জাকিয়ুর রাফিদ নাছি। শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের রাজনীতি করছেন মুসান্না আল গালিব ও জুলফিকার আলী পিয়াস।
আরও পড়ুন- হল সম্মেলনের ঘোষণায় ঢাবি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস
হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে জয়ের অনুসারী হিসেবে আছেন এম এইচ সৌরভ, শহিদুল হক শিশির, জাহিদুল ইসলাম তানজীম ও আখতারুজ্জামান রাজু। লেখক ভট্টাচার্যের সাথে আছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মোহাম্মদ হোসেন, সম্রাট হোসাইন লিটন। সনজিত চন্দ্র দাসের সাথে আছেন সাদিল আব্বাস, মিজানুর রহমান রনি, রাসেল আকন্দ ও রবিউল আওয়াল রবি। বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সাথে আছেন মেহেদি হাসান মিজান, সোহাগ রানা ও আদনান হাবীব খান।
মাস্টারদা সূর্যসেন হলে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে আছেন ইমরান সাগর, সিফাত ভূইয়া, সৈয়দ আজিজুল ও রাসেল রানা সোহেল। এরা জয়ের অনুসারী। লেখক ভট্টাচার্যের সাথে মো. হাবিবুর রহমান সুমন, মো. মোজাম্মেল হোসেন পারভেজ ও সৈয়দ শরীফুল আলম শপু আছেন। সনজিত চন্দ্র দাসের সাথে আছেন মারিয়াম জামান সোহান, রাইসুল ইসলাম, এনামুল হাসান নাহিদ, নাঈম পারভেজ ও মোবারক হোসেন জয়। সাদ্দাম হোসেনের সাথে আছেন সিয়াম রহমান, আরিফুল ইসলাম ও শেখ ইবনে সাবিত।
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে আল নাহিয়ান খান জয়ের সাথে আছেন আব্দুল্লাহ আল সুবাইল, মিজানুর রহমান জনি ও তানভীর সাকিম। লেখক ভট্টাচার্যের সাথে হাসিবুল ইসলাম শান্ত ও আশরাফুল আলম অনিক। সনজিত চন্দ্র দাসের সাথে আছেন আজহারুল ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান এবং সাদ্দাম হোসেনের সাথে আছেন আমির হোসেন মুরাদ ও নাসিম চৌধুরী।
আরও পড়ুন- চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে আটক ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা
বিজয় একাত্তর হলে আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী হিসেবে আছেন হারুন অর রশিদ, দীদার মাহমুদ আব্বাস, তরিকুল ইসলাম, শহীদ আনোয়ার ও মুজিবুল বাশার। লেখক ভট্টাচার্যের সাথে নাজমুল হাসান নিশান, রাজীব আহমেদ, ফাহিম হাসান ও কামরুজ্জামান লিখন। সনজিত চন্দ্র দাসের সাথে সজীবুর রহমান সজীব, তারেক রহমান এলিট ও শফিক ফকির এবং সাদ্দাম হোসেনের সাথে আছেন তবিউল হাসান রানা, আবু ইউনুস ও জহুরুল আলম রনি।
সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে আল নাহিয়ান খান জয়ের সাথে আছেন হাফিজুর রহমান, রুবেল হোসাইন, আনোয়ার হোসেন, আমির হামজা ও সুরাপ মিয়া। লেখক ভট্টাচার্যের সাথে আছেন আহমেদ মুনীর তাঈফ। সনজিত চন্দ্র দাসের সাথে আছেন সাইফুল্লাহ আব্বাসী, আনন্দ ফকীর ও রায়হান উদ্দিন। আর সাদ্দাম হোসেনের সাথে কামাল উদ্দিন রানা, সজীব, নূর ও মোস্তফা।
স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে আল নাহিয়ান খান জয়ের সাথে আছেন হাকিমুল ইসলাম তারেক ও এস এম তুষার হোসেন। লেখক ভট্টাচার্যের সাথে সোহরাব হোসেন চৌধুরী, মিলন খান, নাজমুল হোসাইন ও আরিফুল ইসলাম আরিফ। সনজিত চন্দ্র দাসের সাথে আনোয়ার হোসাইন, অমিত হাসান মিজান, মিশাত সরকার, ইমন খান জীবন, আশিকুর রহমান সোহাগ ও রিয়াজ বিন ওহাব এবং সাদ্দাম হোসেনের সাথে সাইমুন ইসলাম বাপ্পি, তানভীর সিকদার, রায়হান কবির ও আতিকুল ইসলাম আতিক।
কবি জসীম উদ্দিন হলে আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী আব্দুল্লাহ আল নোমান, ওলিউল সুমন, আব্দুল্লাহ আল সোহাগ, হেমায়েত ও তুহিন। লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী সাইফুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন, লুৎফর রহমান ও জাহিদ হাসান। সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী ইমাম হাসান, এনায়েত কবির ও ফজলুল আহসান আবির এবং সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী ফরহাদ আলী, ইমরান হোসেন, রেদোয়ান রনি ও খালিদ হাসান বাদল।
আল নাহিয়ান খান জয়ের সাথে আছেন ফয়সাল মাহমুদ, আফসার হাসান রানা ও রিয়াজুল ইসলাম। লেখক ভট্টাচার্যের সাথে রাহীম সরকার, রায়হান মল্লিক ও তানজিন আল আলামিন। সনজিত চন্দ্র দাসের সাথে শাকের আহমেদ আলামিন, মিজানুর রহমান রনি ও হুসাইন মাহমুদ আপেল। আর সাদ্দাম হোসেনের সাথে সালাউদ্দিন আহমেদ সাজু, মোনেম শাহরিয়ার মুন, আশিক অমি, জুবায়ের আহমেদ ও আলী বিশ্বাস কাজল।
আরও পড়ুন- হাসপাতালে ভর্তি ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত
শহীদুল্লাহ হলে জয়ের সাথে আছেন জাহিদুল ইসলাম (জাহিদ)। লেখক ভট্টাচার্যের সাথে মাসুদ সুইট ও হেলাল উদ্দিন তাইসিন। সনজিত চন্দ্র দাসের সাথে মো. ইরফানুল হাই সৌরভ, শরিফ আহমেদ মুনিম, মো. আশরাফুল ইসলাম ও রাহাতুল আশেকীন রিজভী। আর সাদ্দাম হোসেনের সাথে আছেন মামুন আলী এবং আশরাফুল ইসলাম।
অমর একুশে হলে আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী মাইনুল ইসলাম তানভীর। লেখক ভট্টাচার্যের সাথে রাতুল হাসান নাঈম, ইমদাদুল হক সোহাগ ও সাজ্জাদ হোসেন দিপু। সনজিত চন্দ্র দাসের সাথে রুহুল আমিন শিপন, আলিফ আল আহমেদ ও তরিকুল ইসলাম রাজীব এবং সাদ্দাম হোসেনের সাথে আহসান হাবিব ও এনায়েত হোসেন মনন।
ফজলুল হক মুসলিম হলে জয়ের অনুসারী হলেন আতিকুজ্জামান ডেভিড, নাঈম হাসান, আব্দুল মুন্নাফ এবং শিহাব উদ্দিন অন্তর। লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী রানা আরাফাত, আবু মূসা শুভ এবং আবির হোসেন মিঠু। সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী আনোয়ার হোসেন নাঈম, এহতেশামুল হক হৃদয়, মেহেদি হাসান সুফী, কাওসার মাহফুজ তুহিন, অনিক রহমান রহমত, সারোয়ার হোসেন ও শেখ আব্দুল মুহাইমিনুল তনয়। আর সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী এনায়েত হোসেন, আবু হাসিব মুক্ত, আনোয়ার হোসেন নাইম, আবু মুসা শুভ।
জগন্নাথ হলে আল নাহিয়ান খান জয়ের সাথে আছেন পিটুল বিশ্বাস ও জয়ন্তু কুমার। লেখক ভট্টাচার্যের সাথে অতনু বর্মন, সজল দাস, সত্যজিৎ দেবনাথ, জয়জিৎ দত্ত ও প্রণব বিশ্বাস। এবং সঞ্জিত চন্দ্র দাসের সাথে আছেন কাজল দাস।
বঙ্গমাতা শেখ ফজীলাতুন্নেসা হলে আল নাহিয়ান খান জয়ের সাথে আছেন সাবরিনা খাতুন, তানিয়া আক্তার তাপসী ও আফরোজা শারমিন ইমু। লেখক ভট্টাচার্যের সাথে তানজিনা ইয়াসমিন ও রুবাইয়া ইরা। সনজিত চন্দ্র দাসের সাথে পাপিয়া আক্তার টুম্পা এবং সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী হিসেবে আছেন কহিনূর আক্তার রাখি ও লোপা রহমান।
কবি সুফিয়া কামাল হলে আল নাহিয়ান খান জয়ের সাথে আছেন লাবিসা আক্তার রিমা। সনজিত চন্দ্র দাসের সাথে পূজা কর্মকার এবং সাদ্দাম হোসেনের সাথে আছেন মিতালী মণ্ডল ও কানিজ মীম।
শামসুন নাহার হলে আল নাহিয়ান খান জয়ের সাথে আছেন খাদিজা আক্তার ঊর্মি। লেখক ভট্টাচার্যের সাথে সাবিহা মাহফুজ নীলা ও নুসরাত রুবাইয়াত নীলা। সনজিত চন্দ্র দাসের সাথে বিশাখা দাস ইরা এবং সাদ্দাম হোসেনের সাথে সাবরিনা তাবাসসুম মিথিলা ও মেহেরজান হক।
রোকেয়া হলে আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী হিসেবে আছেন মাসুমা ইয়াসমিন, সীথিমা সেন ও মুহসিনা খাতুন মাইশা। লেখক ভট্টাচার্যের সাথে ফারজানা ইয়াসমিন অনন্যা, ফাল্গুনী দাস তন্বী ও সাফরিন সুরাইয়া। সঞ্জিত চন্দ্র দাসের সাথে অন্তরা দাস প্রীথা ও মাইশা বাশের সুমাইয়া। আর সাদ্দাম হোসেনের সাথে মজিদা নাসরিন মমো, আতিকা বিনতে হোসেন ও নূর বানু মুক্তা।
বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হলে সনজিত চন্দ্র দাসের সাথে আছেন জান্নাতুল হাওয়া আঁখি এবং সাদ্দাম হোসেনের সাথে আছেন রাজিয়া সুলতানা কথা।
হল সম্মেলনের বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন। নির্ধারিত সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। নেতৃত্ব আদর্শিক কর্মীদের প্রাধান্য দেয়া হবে। বিতর্কিত কাউকে কমিটিতে স্থান দেয়া হবে না।