ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে না যাওয়ায় ঢাবি ছাত্রকে বেধড়ক পেটালো জয়ের অনুসারী

সিফাত উল্লাহ সিফাত ও আল নাহিয়ান খান জয়
সিফাত উল্লাহ সিফাত ও আল নাহিয়ান খান জয়  © টিডিসি ফটো

দলীয় কর্মসূচিতে (প্রোগ্রাম) অংশগ্রহণ না করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলের এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে একই হলের ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী (হল কমিটি) এক কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম সিফাত উল্লাহ সিফাত। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, সিফাত হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা ইমরান সাগরের অনুসারী এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী। এর আগে ২০১৮ সালে অর্থনীতি বিভাগের দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত সিফাতকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল। তাছাড়া গত মাসে ওই হলের দুই শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন করেছিলেন সিফাত উল্লাহসহ হল ছাত্রলীগের আরও এক কর্মী।

আরও পড়ুন: ঢাবির সূর্যসেন হলে দুই শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন ছাত্রলীগের

এ ঘটনার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন ফ্রেঞ্চ ল্যাংগুয়েজ এন্ড কালচার বিভাগের কাজী পরশ মিয়া। আজ সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার পলিটিক্যাল প্রোগ্রাম ছিল। সেখানে আমাকে যেতে বলা হয় কিন্তু পরীক্ষা থাকার কারণে আমি যেতে পারিনি। যার কারণে আজ সন্ধ্যা সাতটার সময় সিফাত আমাকে তার রুমে ডেকে পাঠায় এবং আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রোগ্রামে কেন প্রোগ্রামে যায়নি।

আরও পড়ুন: ঢাবির সূর্যসেন হলে গভীর রাতে ছাত্রলীগের রুম দখল

“আমি বিনয়ের সাথে তাকে বলি আমার পরীক্ষা চলছে এজন্য যেতে পারিনি। এ কথা বলার সাথে সাথে সে আমার কলার চেপে ধরে বেধড়ক মারধর করা শুরু করে এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি ঠিকমত নিঃশ্বাস নিতে পারছিলাম না। এক পর্যায়ে বড় ভাইরা এসে আমাকে সেভ করে এবং আমাকে সে হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়।”

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সিফাত উল্লাহ সিফাতকে ফোন দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার সাথে সাথে এই প্রতিবেদকের ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আরও পড়ুন: ঢাবির সূর্যসেন হলের ক্যান্টিন পরিচালককে ছাত্রলীগের মারধর

ওই হলের ছাত্রলীগের নেতা ইমরান সাগরকেও একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. মকবুল হোসেন বলেন, আমি কিছুক্ষণ আগে শুনলাম। আমি খোঁজ নিচ্ছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেবেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আমার কাছে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। আমি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।


সর্বশেষ সংবাদ