পাঁচ দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমাবেশ

প্রগতিশীল ছাত্রজো
প্রগতিশীল ছাত্রজো  © ফাইল ছবি

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের আয়ের উপর ১৫% করারোপ বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবিতে ছাত্র সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। শনিবার (১২ জুন) বিকেল চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

জোটের অন্য দাবিসমূহ হচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকদের অবৈধ আয় বাজেয়াপ্ত করণ, টিউশন ফি নির্ধারণে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন, করোনাকালে শিক্ষার্থীদের বেতন-ফি মওকুফ, অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার রোডম্যাপ ঘোষণা করা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়া।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মন তমার সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক নাসিরুদ্দিন প্রিন্স, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ প্রমুখ।

ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ বলেন, আজকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম শুধু নোটিশ বোর্ডে সীমাবদ্ধ আছে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের ন্যূনতম কোনো মাথাব্যাথা নেই। শিক্ষা খাতকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিন নিশ্চিত করে নাকি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খোলা হবে। কিন্তু কবে নাগাদ ভ্যাকসিন নিশ্চিত করা হবে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। তাই আমরা বলতে চাই নির্দিষ্ট সময়ের উল্লেখ করে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খোলার রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন খাতে চলছে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে ছাত্র-ছাত্রীরা এসব অনিয়নের বিরুদ্ধে কথা বলবে। যারা ভয়ে সরকার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুলে দিচ্ছে না।বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিরা বিভিন্নভাবে সরকারের সাথে জড়িত। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ হচ্ছে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। ১৫% করারোপের মাধ্যমে তারা যে অবৈ ধ মুনাফা অর্জন করছে প্রকারান্তরে সেটিকে বৈধতা দেওয়ার পায়তারা চলছে।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা মোবাইল-ইন্টারনেটে আসক্তি হয়ে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। মেয়েদেরকে বাল্যবিবাহ দেওয়া হচ্ছে। শারীরিক এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে অনেক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিচ্ছে। অথচ সরকার দিনের পর দিন শিক্ষার্থীদের সাথে তামাশা করে যাচ্ছে। গত বছর যেখানে শিক্ষাখাতে জিডিপির ২.১১ শতাংশ বরাদ্দ ছিলো। এবার সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ২.০৮ শতাংশে। বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের উপর যে ১৫% করারোপ করা হয়েছে এর মাধ্যমে শিক্ষাব্যয় আরো বেড়ে যাবে। পক্ষান্তরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই এই কর আদায় করা হবে। সমাবেশ পরবর্তীতে একটি মিছিল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন মোড় প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।


সর্বশেষ সংবাদ