বিক্ষুব্ধদের প্রতি ইতিবাচক তারেক রহমান, সংকট নিরসনে সার্চ কমিটিকে তাগিদ
- নাজমুস সাদাত
- প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০১৯, ০৩:৫৩ PM , আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৯, ১০:১৬ PM
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিল ও সদ্য সাবেকদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সৃষ্ট সংকটের সমাধান আসছে শিগগির। সংকট নিরসনে এরইমধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের প্রচেষ্টা অনেকদূর এগিয়েছে। তাদের পরামর্শে গতকাল বুধবার দুপুরে বিক্ষুব্ধরা সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে দুঃখ প্রকাশ এবং তার আদেশ মেনে চলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। পরে একইদিন বিকেলে সার্চ কমিটির সঙ্গে বৈঠকে সার্বিক পরিস্থিতে ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধদের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন তারেক রহমান। একইসঙ্গে তাদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে কীভাবে সংকট নিরসন করা যায় সে বিষয়ে সার্চ কমিটিকে তাগিদ দেন তিনি।
উপরোল্লিখিত বিষয়গুলো নিশ্চিত করে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সার্চ কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের আন্দোলন স্থগিত থাকলেও কাউন্সিলের কার্যক্রমও স্থগিত রয়েছে, যা দলের জন্য অস্বস্তিকর।’
আকরামুল হাসান আরও বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক শেষে তারা (সার্চ কমিটি) গতকাল রাতেই সংকট নিরসনে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির জ্যেষ্ঠ তিন নেতার মধ্যে স্থায়ী কমিটির দুই সদস্যের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। পাশাপাশি বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা হচ্ছে জানিয়ে সংকটের আশু সসাধান হবে বলে তিনি জানান। এছাড়া ছাত্রদলের বহিষ্কৃত সাবেক ১২ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি দল ইতিবাচকভাবে দেখছে বলেও জানিয়েছেন সার্চ কমিটির এই সদস্য।
এদিকে ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও শর্ত তুলে দিয়ে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের অন্যতম নেতা এজমল হোসেন পাইলট আজ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেছেন, ‘গতকাল সংবাদ সম্মেলনের পর থেকে এখনও তাদের সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির তিন জ্যেষ্ঠ নেতা কিংবা সার্চ কমিটির সঙ্গে তাদের আনুষ্ঠানিক কোনো কথা হয়নি। তারা দলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন।’
তবে সমাধান কোন প্রক্রিয়ায়- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা যথাসময়ে ছাত্রদলের কাউন্সিল অনুষ্ঠানের বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। তবে তার আগে স্বল্প সময়ের জন্য তারা একটি আহ্বায়ক কমিটি চান; যা সাংগঠনিক মর্যাদা পাবে। মেয়াদ যাইহোক অন্যান্য সাংগঠনিক কমিটির ন্যায় মর্যাদা দিয়ে আহ্বায়ক কমিটির দাবিতে তাদের অনঢ় অবস্থান ব্যক্ত করে পাইলট বলেন, বিএনপি চাইলে তাদের আহ্বায়ক কমিটিও পরবর্তীতে কাউন্সিল উপলক্ষ্যে গঠিত কমিটির সঙ্গে অন্তর্ভূক্ত হতে পারে।’
একই অবস্থান ব্যক্ত করে সদ্য বিলুপ্ত কমিটির ১ম যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, সাংগঠনিক মর্যাদা দিয়ে একটি আহ্ববায়ক কমিটির অবস্থান থেকে তারা সরবেন না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাদের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সমাধান দেবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠনে ২০০০ সালের মধ্যে এসএসসি পাসের বয়সসীমা বেঁধে দিয়ে গণমাধ্যমে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এর পর থেকে কমিটি গঠনের পক্রিয়ায় জড়িতদের ‘সিন্ডিকেট’ আখ্যায়িত করে শর্ত তুলে দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির দাবিতে আন্দোলনে নামেন ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।