চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ জবি ছাত্রদল আহ্বায়কের বিরুদ্ধে
- জবি প্রদায়ক
- প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৯ AM , আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৩ PM

চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেলের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ও আইসিইউর প্রধান চিকিৎসক মো. মোশাররফ।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর মিটফোর্ডে মেডিলাইফ হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে এ ঘটনা ঘটে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহরিয়ার হোসেন, রফিকুল ইসলাম রফিক, মোজাম্মেল মামুন ডেনি, সদস্য মাইদ, সাদমান সাম্যসহ ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী মেডিলাইফ হাসপাতালে প্রবেশ করেন এবং তারপর অপারেশন থিয়েটারে যান।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে চিকিৎসক মো. মোশাররফ বলেন, “মিটফোর্ডে মেডিলাইফ হাসপাতালে আমি অপারেশন থিয়েটারে ছিলাম। তখন অপারেশন চলছিল। আসরের আজান হলে আমি নামাজ পড়ছিলাম। সালাম ফিরিয়ে দেখি, হিমেলসহ ১০-১৫ জন আমার পেছনে দাঁড়ানো। আমাকে হিমেল জিজ্ঞেস করল, ‘এই তোর নাম কি ডাক্তার মোশাররফ?’ আমি আমার পরিচয় তাদের বললাম, আমি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেলের প্রফেসর এবং সেখানে আইসিইউর প্রধান। আমি তাদের সুন্দর করে কথা বলতে বললাম। আমি তাকে তার পরিচয় জিজ্ঞেস করলে সে বলল, জগন্নাথের ভিপি, তার নাম হিমেল। সে আমার কাছে আমার ফোন চাইল এবং একপর্যায়ে আমার ফোন কেড়ে নেয়...।’
আরও পড়ুন: নতুন দিনের বার্তা নিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু
তিনি বলেন, ‘বিল্ডিংয়ের তিনতলায় আমার একটা আইসিইউ ছিল। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আমলে আমার সেই আইসিইউ দখল করে রেখেছিল। ৫ আগস্টের পর তারা পালিয়ে যায়। কমিশনার কাজী আবুল বাশারসহ আমরা একটা মিটিং করি, সেখানে ওসি ছিল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সম্পাদক সফু ভাই ছিল। আমরা বিচারে বসেছিলাম সমস্যা সমাধানের জন্য। সবার সঙ্গে কথা বলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, ঝামেলা না করে তিনতলায় তালা মারা থাকুক। বিচার করে, ফাইনাল করে আমরা তালা খুলে দেব।’
মো. মোশাররফ আরও বলেন, “আমি যখন হিমেলকে বললাম যে, আমি এই বিষয় সফু ভাইকে জানিয়েছি। সফু ভাই বিচার করে একটা ব্যবস্থা নেবেন। তখন হিমেল বলে, ‘ওই সফু কে, সফু কে? আমি হিমেল, জবির ভিপি।’ আমি তখন তাকে সফু ভাইয়ের সঙ্গে, ডিসির কথা বলতে বলি। কিন্তু তারা আমার ফোনটা আমাকে দেয় না। একপর্যায়ে তারা আমাকে মারধর শুরু করে রুম আটকে রাখে। হিমেল আমাকে হুমকি দেয়, আমি আমার ওয়ারীর যে বাসায় থাকি সেখান থেকে তুলে নিয়ে আসবে। আমার হাসপাতালে অনেক মানুষ জড়ো হয়েছিল। তারা সবাই দেখেছে।’
আরও পড়ুন: ৫ দিনেই সনদ পাবেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, ‘আমি সেখানে গিয়েছিলাম, আমার মামার বিল্ডিং ডাক্তার হারিস তালা দিয়ে রাখছে। আমি তাকে অপারেশন থিয়েটার থেকে ডেকে এনে জিজ্ঞেস করেছি। সে যে মারধরের কথা বলছে, সেটা মিথ্যা। আমি কেন মারব? বিল্ডিংটি যার, সে আমার মামা। পারিবারিক সম্পর্কের কারণে আমি বলতে গিয়েছি। তারা চারজন পার্টনারে হাসপাতাল দিয়েছিল, সেখানের কিছু জিনিস ভাগাভাগি নিয়ে সমস্যা, সেটা আমি সমাধান করতে গিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলে আসছি, তারা বুধবার বসবে, তারপর একটা সমাধান করবে। এখানে আমার আত্মীয় রক্তের না হলে যেতাম না। রুমে যে তালা ঝুলিয়ে রাখছে ডাক্তার হারিস, আমি রুমের তালাও খুলি নাই।’