২৭ বছর বন্ধ বাকসু নির্বাচনের দাবিতে বাকৃবি ছাত্রদলের সদস্য সংগ্রহ কর্মশালা
- বাকৃবি প্রদায়ক
- প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২২ AM , আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২২ AM

২৭ বছরের বন্ধ থাকা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (বাকসু) নির্বাচনের করার দাবিতে ছাত্রদলের সদস্য সংগ্রহ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন চত্বরে এ আয়োজন করা হয়। সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে বাকসু নির্বাচন হয়েছিল।
ছাত্রদল বাকৃবি শাখার আহবায়ক মো. আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব মো. শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম। উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক এ এম শোয়াইব, মো. তরিকুর ইসলাম তুষার, আরিফুল হাসান আরিফসহ নেতাকর্মীরা।
শ্যামল মালুম বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর ২০২৪ সালে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা লাভ করেছে। হাজার হাজার মানুষের আত্মত্যাগের মাধ্যমে এ স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ছাত্রদল অংশগ্রহণ করেছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের প্রায় ৫০০ নেতাকর্মী ছাত্রলীগের হাতে গুম ও খুনের শিকার হয়েছে।
জুলাই ও আগস্ট মাসে চলা আন্দোলনে ছাত্রদলের ১৪৩ জন নেতাকর্মী শহিদ হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির প্রায় ৫০০ নেতা-কর্মী আন্দোলনে জীবন দিয়েছেন। দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আন্দোলনে মোট শহিদের এক-তৃতীয়াংশ বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী। বিএনপি ও ছাত্রদল একবারও দাবি করেনি, আন্দোলনে সফলতার কৃতিত্ব আমাদের। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, এ সফলতার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব এদেশের মানুষের।
তিনি আরো বলেন, বিগত সময়ে বাংলাদেশে যে দখলদারিত্ব ও পেশিশক্তির রাজনীতি চলেছে, ছাত্রদল কোনোদিন সেই রাজনীতি করবে না। আমরা ছাত্র রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন নিয়ে আসতে চাই। বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি থাকবে এবং ছাত্ররাই কেবল তাতে অংশ নিবে। ছাত্রদল অতীতের ন্যায় বিনা প্রয়োজনে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মিটিং-মিছিল করবে না। ছাত্র-ছাত্রীরা যে কাজগুলো পছন্দ করবে না, ছাত্রদল সে কাজগুলো কোনোদিন করবে না।
আরো পড়ুন: রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের কমিটি দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, গণস্বাক্ষর
আহবায়ক মো. আতিকুর রহমান বলেন, শিক্ষার জন্য শান্তিপূর্ণ, নেশা-মাদকমুক্ত ও হানাহানিমুক্ত ক্যাম্পাস চাই। প্রশাসন চাইলে ছাত্রদল সহযোগিতা করবে। শিক্ষার্থীদের মতামত জানা ও রাজনৈতিক ভাবনা বুঝতে এ সমাবেশ গুরুত্বপূর্ণ, যা একপ্রকার গণশুনানি। ছাত্রদল রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে নয় বরং গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠায় শিক্ষার্থীদের ভূমিকা চায়। আধুনিক প্রজন্ম সুষ্ঠু ধারার রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদভিত্তিক গণমুখী রাজনৈতিক সংস্কৃতি চর্চা করুক, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
সদস্যসচিব মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বাকৃবি ছাত্রদল সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে ছিল। আমরা সিট বাণিজ্য, গেস্ট রুম ও শিক্ষার পরিবেশ নষ্টের বিরুদ্ধে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক রাজনীতি চাই। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় আজকের সমাবেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাকসু পুনঃপ্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি। ছাত্রদলের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডার মুখোশ উন্মোচন হয়েছে, শিক্ষার্থীরাই রাজনীতি চায় এই সমাবেশটিই তার প্রমাণ।