নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে জোরপূর্বক জবানবন্দি নেওয়ার চেষ্টা করে ছাত্রদল: ফজলে রাব্বি

সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ সম্মেলন  © টিডিসি ফটো

কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রদলের সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার জেরে তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা টঙ্গী ক্যাম্পাসের ছাত্রশিবিরের এক নেতাকে হাত ও মাথায় কুপিয়েছে সংগঠনটির একদল কর্মী। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মাদ্রাসার পার্শ্ববর্তী বাঁশতলা এলাকায় এ কোপানোর ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ফজলে রাব্বী আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও মাদ্রাসাটির একটি ওয়ার্ডের ছাত্রশিবিরের সভাপতি।

আজ (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় আহত ফজলে রাব্বি মাদ্রাসার প্রশাসনিক ভবনের সামনের মাঠে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে গতকালের বিস্তারিত ঘটনার বর্ণনা প্রদান করেন। 

তিনি বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের  ডেকে নিয়ে ছাত্রদলের একদল সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা চালিয়েছে। এরপর তাৎক্ষণিক ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ আসে। 

ভুক্তভোগী আরও বলেন, টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশের গাড়ি ঘেরাও করে থানার আশপাশের পুরো এলাকাজুড়ে মহড়া দিতে থাকে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা। এক পর্যায়ে তাঁদের (ছাত্রদল) কথা মোতাবেক ভিডিও জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় পুলিশের গাড়ি ঘেরাও করে জোরপূর্বক ভিডিও জবানবন্দি ধারণ করে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ফেসবুক পেইজে আপলোড দেয়া হয়। যা মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে উল্লেখ করে ফজলে রাব্বি।

ছাত্রশিবিরের ওয়ার্ড সভাপতির উপর ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় ৮ জনকে আসামী করাসহ অজ্ঞাতনামাদের নামে মামলা দায়ের করেছে হামলার শিকার ফজলে রাব্বি। মামলার আসামীরা হলেন– সন্ত্রাসী মামুন ভূঁইয়া, মাহফুজ, নাহিয়ান, নাবিউল, সামিসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা।

ছাত্রদলের পক্ষ থেকে নারীঘটিত অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে ফজলে রাব্বি ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বলেন, এ ঘটনার কোনো ভিত্তি নেই। ওরা (ছাত্রদল) নিজেদের অপকর্ম ঢাকতেই এরকম অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমার হাতে সিগারেট তুলে দিয়ে ছবি তুলে বিকৃত প্রচারের চেষ্টাও চালাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে তা’মীরুল মিল্লাত শাখা ছাত্রশিবিরের অফিস বিষয়ক সম্পাদক মইনুল ইসলাম বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর আমরা সুন্দর, স্বাভাবিক ও নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই। কোনো দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র সংগঠনের দ্বারা কোনো শিক্ষার্থী আঘাতপ্রাপ্ত হবে এমনটি চাইনা। ছাত্রসংগঠনগুলোর একটিমাত্র উদ্দেশ্য হতে পারে শিক্ষাবান্ধব কর্মসূচি ও শিক্ষার্থীদের সেবামূলক কার্যক্রম নিয়ে সজাগ ও সরব থাকা। ছাত্রসংগঠনগুলো এটা নিশ্চিত করতে পারলে দেশে সুস্থধারার রাজনীতি ফিরে আসবে বলে মনে করেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ