‘স্বাস্থ্য পুলিশ’ গঠনের চিন্তা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

‘স্বাস্থ্য পুলিশ’ গঠনের চিন্তা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
‘স্বাস্থ্য পুলিশ’ গঠনের চিন্তা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের  © টিডিসি ফটো

দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে বন্যার্তদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে ‘স্বাস্থ্য পুলিশ’ নামক নতুন বাহিনী গঠনের ব্যাপারে ভাবছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্য উপকমিটি। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা বলেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্য উপ-কমিটির সদস্য নাহিয়ান বলেন, ‘স্বাস্থ্য পুলিশ’ নামক একটি বাহিনীর কার্যক্রম চালু করার ব্যাপারে আমরা ভাবছি। বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলেছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে আমরা এ ব্যাপারে কথা বলব।

তিনি মেডিসিন সেবা দানের বিষয়ে বলেন, ডাক্তারের হাত ছাড়া কোন ধরনের মেডিসিন দেয়া হচ্ছে না। নোয়াখালীতে, ফেণীতে এবং কুমিল্লায় হাসপাতালের মাধ্যমে মেডিসিন দেয়া হচ্ছে। আমাদের ৯০ দিনে স্বাস্থ্য খাত পরিবর্তনের মিশনে দেশের সকল ডাক্তারদের সাহায্য কামনা করছি।।

স্বাস্থ্য উপকমিটির সদস্য আকমল বলেন, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সরকারি হাসপাতালের সকল ধরনের তথ্য ও হিসাব আছে তবে সকল প্রাইভেট হাসপাতালের হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। তারা অনেকেই অসহযোগিতা করেছেন। তবে পপুলার হাসপাতালের মতো কিছু হাসপাতাল সর্বোচ্চ সাহায্য করেছে। তারা অনেককে ফ্রি চিকিৎসা দিয়েছে।

‘ফ্যাসিস্ট সরকারের এজেন্টরা একযোগে অনেককে মাঠে নামাচ্ছে। বিভিন্ন ঐষধ কোম্পানির কর্মচারীরা অযৌক্তিক দাবি তুলছে। এখন জাতীয় জরুরি অবস্থা চলছে এখন তাদের এমন অযৌক্তিক দাবি দাওয়া দেখে বোঝা যায় তারা এসব করে  যে ভাল কিছু চাচ্ছে না সেটা বুঝতে রকেট সায়েন্স বোঝার দরকার নাই।’

তিনি আরো বলেন, আমাদের কমিটির বাইরে কেও যদি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম দিয়ে  হাসপাতালে গিয়ে কোন কিছু করার চেষ্টা করেন তার দায় আমরা নেব না। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেব।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এত নমনীয়ভাবে সবকিছু পরিচালনা করলে দেশ অস্থিতিশীল হয়ে পরবে। আপনারা দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ নিন।

এ কমিটির প্রধান মাহিন সরকার বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন কারের কাছে আমাদের দাবি জানাই বিভিন্ন হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজ সরানো হয়েছিলো তথ্য গোপন করার জন্যে। সেগুলো নিশ্চই গোয়েন্দা সংস্থা বা অন্য কোথাও আছে। সেগুলোকে পুনরুদ্ধার করুন।

তিনি আরো বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হয়ে কেও যদি কোন রকম অসহযোগিতা দেখতে পান তাহলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৬২৬৩ এই নাম্বারে আপনারা অভিযোগ জানাতে পারেন।

উল্লেখ্য, এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্য উপ কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মাহিন সরকারসহ নাহিদা বুশরা, নাহিয়ান, আকমলসহ আরও অনেকে।


সর্বশেষ সংবাদ