নজরুলের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীতে ঢাবি ছাত্রদলের শ্রদ্ধা নিবেদন
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৪, ০৭:৪৮ PM , আপডেট: ২৫ মে ২০২৪, ০৭:৫৭ PM
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ। শনিবার (২৫মে) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে অবস্থিত কবির সমাধিতে এ নিবেদন জানান তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড. রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, সিনিয়র সহ সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন শাওন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আক্তার শুভ সহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন হলের নেতৃবৃন্দ।
কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ১৯৪২ সালে দেশভাগের ডামাডোলের মধ্যেই যে মহামানব একটি পুরো সম্পাদকীয় লিখে বাংলাদেশ নামক জাতি রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, ২৯ বছর দেরিতে হলেও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশিরা স্বাধীনতা অর্জন করে তাঁর সেই স্বপ্নকেই সত্যি করেছিল। অথচ দুঃখের ব্যাপার, তাঁকে আমরা কেবল কবি হিসেবেই জানি। সাহিত্য ও রাজনীতিতে তাঁর অবদানের ব্যাপারে চর্চার জন্য আমাদের সমাজে ও শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ ও সুযোগ খুবই সীমিত। হয়ত তাঁর অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার নিঃস্বার্থ ও অনমনীয় আদর্শ প্রচার হলে হুকুমতের পক্ষে মতামত কমজোর হয়, সেজন্যেই নামে জাতীয় কবি বানালেও কাজে-কর্মে সেরকম মর্যাদা তাঁকে দেয়া হয় না। আশা করি অদূর ভবিষ্যতে জনগণের সরকার বাংলাদেশি জাতির এই ঋণ পরিশোধে যথেষ্ট প্রয়াস নেবে।
ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, সাম্য, মানবতা, প্রেম, দ্রোহ, তারুণ্যসহ সকল দুঃশাসন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে কাজী নজরুল ইসলামের লেখনী সব সময় প্রাসঙ্গিক। চলমান দুঃশাসনকে মানবতার জয়গান গেয়ে যারা বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে কুণ্ঠাবোধ করেনা তাদের জন্য সব থেকে বড় অনুপ্রেরণার নাম কাজী নজরুল ইসলাম। বিশেষ করে তরুণ ও ছাত্রদের জন্য কবির লেখনী সবসময় হৃদয়কে উদ্বেলিত করে তোলে। ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে কবির লেখনী এভাবেই প্রকাশিত হয়েছে,
তিনি বলেন,বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কবির লেখনীর প্রাসঙ্গিকতার কারণেই আজ কবিকে নিয়ে সঠিক চর্চা সীমিত হয়ে পরেছে। চলমান দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্ররা তাদের অধিকার আদায়ে কবির লেখনীকেই শক্তি হিসেবে গ্রহণ করবে।