কবি নজরুল সরকারি কলেজ
সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় দায় এড়ানোর চেষ্টা প্রশাসন-ছাত্রলীগের
- কবি নজরুল কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:১০ PM , আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৩৩ PM
রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজে দুই সাংবাদিককে মারধরের ঘটনা পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। বহাল তবিয়তে আছেন সাংবাদিক নির্যাতনকারী ছাত্রলীগের সেই কর্মীরা। এদিকে কলেজ প্রশাসনও কোনরকম আশ্বাস দিয়ে দায় এড়িয়েছেন। মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মীদের সংশ্লিষ্টতা থাকায় কবে নাগাদ কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তা বলতে নারাজ কলেজ প্রশাসন।
এদিকে দুই সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় দেশব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সংগঠনগুলো তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্তদের বিচারের দাবি জানিয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনও নিন্দা জানিয়েছে।
এ বিষয়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমেনা বেগম বলেন, মারধরের বিষয় নিয়ে সাংবাদিক সমিতির কয়েকজন আমাকে অভিযোগ দিয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা তদন্ত কমিটিও গঠন করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে এর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কতো সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তাদের কতো দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কিছুই বলেন নি কলেজ অধ্যক্ষ।
আরও পড়ুন: ছাত্রকে মারধরের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ২ সাংবাদিককেও 'মারধর’
এদিকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন সাগর বলেন, ঘটনার পর দিনই আমি কেন্দ্রে অভিযুক্তদের তালিকা দিয়েছে। আশাকরি শীঘ্রই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, কবি নজরুল কলেজে সাংবাদিকদের মারধরের বিষয়টি আমি শুনেছি। এনিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে। ঢাকা ওয়েভের প্রতিবেদক ও কবি নজরুল কলেজ সাংবাদিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক শীতাংশু ভৌমিক অংকুর ছবি তুলতে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার ফোন কেড়ে নেয়। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পর তাকে মারধর শুরু করে। এসময় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস এর প্রতিনিধি ও সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য পার্থ সাহা এগিয়ে গেলে তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। এরপর কলেজ মসজিদের সামনে শীতাংশুকে দ্বিতীয় দফায় আবার মারধর করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। অভিযুক্ত সবাই কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন সাগরের অনুসারী।