কেন্দ্রীয় সমাবেশেকে ঘিরে উচ্ছ্বাস জবি ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রলীগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রলীগ  © লোগো

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের স্বরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১ সেপ্টেম্বর। সমাবেশকে সফল করতে এরই মধ্যে ছাত্রলীগের প্রতিটি ইউনিট থেকে নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দিতে কেন্দ্র থেকে দেওয়া হয়েছে ৭টি নির্দেশনা। এসব নির্দেশনার মধ্যে প্রতিটি সাংগঠনিক ইউনিট থেকে সমাবেশকে সফল করতে নিজ ইউনিটে ও তার অধীনস্ত ইউনিটগুলোতে নির্বাহী সভা, বর্ধিত সভা, কর্মী সভার আয়োজন করার কথা বলা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্যাম্পাসে পোস্টার লাগানো, নিয়মিত মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রস্তুতি ও  বর্ধিত সভা করতে দেখা গেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে। মিছিল মিটিংয়ে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে নেতাকর্মীদের মাঝে।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সমাবেশকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হলের নেত্রী ও কর্মীরা ব্যাপকভাবে উচ্ছ্বসিত ও প্রস্তুত। সমাবেশকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের নির্বাহী পরিষদের আয়োজনে গত এক সাপ্তাহ ধরে সক্রিয় অবস্থানে সকল নেতাকর্মীরা। 

জবি ছাত্রলীগের কর্মী সিফাত উল্লাহ জানান, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন তোমাদের কলম হোক শোষণ মুক্তির হাতিয়ার। সেই বঙ্গবন্ধুর তর্জনীর দাপট সযত্নে গুছিয়ে রাখা ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কতৃক স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্রসমাবেশ সফল করতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সদা ঐক্যবদ্ধ। আমরা বঙ্গবন্ধু তনয়া বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট সিটিজেন গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে এবং  মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তিকে রাজনীতির মাধ্যমে পরাজিত করতে চাই।

সমাবেশের প্রস্তুতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি বলেন, ১ সেপ্টেম্বরের সমাবেশ স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ হতে যাচ্ছে। সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় দুই হাজার নেতাকর্মী অংশ নিব। আগামীকাল সকালে ক্যাম্পাসে নাস্তা করে আমরা সবাই সমাবেশের উদ্দেশ্য রওনা দিব।

তিনি আরও জানান, যেহেতু আমাদের হল নেই তাই আমরা সবাইকে গুছিয়ে নিতে সকল ধরনের নির্দেশনা দিয়েছি। একমাত্র ছাত্রীহলের কর্মীরা এবং অন্যান্য নারী কর্মীরা শাড়ি পড়ে অংশগ্রহণ করবে। আমরা ইতিমধ্যে বর্ধিত সভাসহ সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে আমরা সমাবেশ সফল করে ফিরে আসব।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইন বলেন, সমাবেশ সফল করতে আমরা সকল বিভাগের ছাত্রলীগের কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের সাথে বসে কথা বলেছি। ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সকল কর্মীর সাথেও আমরা আলোচনা করেছি। বর্ধিত সভা, কর্মী সভা সহ নানা আয়োজন করে আমরা সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে প্রস্তুতি নিছি। তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের দেওয়া সকল নির্দেশনা মেনে আমরা প্রস্তুত আছি। ১ সেপ্টেম্বর স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগও শক্ত অবস্থানে থেকে সমাবেশ সফল করে শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করবে।

সমাবেশকে সফল করতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রবিউল হাসান রানা এবং উপ প্রচার সম্পাদক শাহাবাজ হোসেন বর্ষণ ।

উল্লেখ্য, শোকের মাস আগস্ট উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে আগামীকাল ১ সেপ্টেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘সর্বকালের সর্ববৃহৎ’ ছাত্রসমাবেশের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


সর্বশেষ সংবাদ