ছাত্রলীগে পদবঞ্চিত হয়ে পড়াশোনা, এখন চাকরি করেন অ্যামাজনে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৩, ০৯:৩০ PM , আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৩, ১০:০৩ PM
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শোভন-রাব্বানী/জয়-লেখক কমিটিতে পদবঞ্চিত ছিলেন শেখ আবদুল্লাহ নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক এক শিক্ষার্থী। যদিও এর আগে তিন কমিটিতে কেন্দ্রীয়, ঢাবি ও বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি হলের ছাত্রলীরে পদে ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে ছাত্রলীগ থেকে পদবঞ্চিত হয়ে নতুনভাবে পড়াশোনা শুরু করেন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের এই শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে আমেরিকায় গিয়ে পড়াশোনা করে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অনলাইন স্টোর, ক্লাউড স্টোর ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনে পেয়েছেন চাকরি।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর শেখ আবদুল্লাহ তার সেই পুরানো দিনে কথা স্মরণ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, রাজনৈতিকভাবে বঞ্চিত করা সেই দিনের কষ্টটা ভুলার নয়, এখনও ভুলি নাই। আর ভুলা যাবে না সারা জীবনেও। সাদ্দাম-ইনান কমিটির পদবঞ্চিতদের উদ্দ্যেশে করে তিনি বলেন, পদ পাওয়াই জীবনের সব, এমনটা না ভেবে নিজেকে এবার সময় দিন। সেটা হতে পারে আবারও রাজনীতি, পড়ালেখা, ব্যবসায় অথবা অন্যকিছুতে।
নিচে শেখ আবদুল্লাহ’র স্ট্যাটাসটি পাঠকদের উদ্দেশ্যে পুরো তুলে ধরা হলো-
আমাকে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী ভাই একবার না করেছিলেন, আর আল নাহিয়ান খান জয় ভাই ও লেখক ভট্টাচার্য দাদা না করেছেন আরও একবার। যেদিন তারা রাজনৈতিকভাবে বঞ্চিত করেছিলেন, সেই দিনের কষ্টটা ভুলার নয়, এখনও ভুলি নাই। আর ভুলা যাবে না সারা জীবনেও।
“আমি কিন্তু এরপর থেকে নিজেকে আর বঞ্চিত করিনি। ছাত্রলীগ আমাকে পদায়ন করলে আমার কতটুকু মেধা আর ক্রিয়েটিভিটি এ্যাড করতে পারতো তাদের টিমে সেটা আপনারা অনেকেই জানেন, আর আমিও জানি/জানতাম কারণ আমি কখোনই আমার নিজেকে সন্দেহ করিনি। ছাত্রলীগ আমাকে মূল্যায়ন করে নাই তার মানেই আমি মূল্যহীন? অসম্ভব, কোনভাবেই না....”
“ছাত্ররাজনীতি ছাড়ার পরে বিয়ে করেছি, আমেরিকায় এসে এখন পর্যন্ত যাকিছু সম্ভব তার অনেক কিছুই অর্জন করেছি, আরো চলমান। ইউনিভার্সিটির ফান্ডের টাকায় একটা মাস্টার্স ডিগ্রিও নেয়া প্রায় শেষ। অ্যামাজনের মতো প্রতিষ্ঠানে জব করছি। ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ।”
“রাজনীতি করবেন কি করবেন না সেটা একান্তই আপনার বিষয়। কিন্তু এই পদ পাওয়াই জীবনের সব, এমনটা না ভেবে নিজেকে এবার সময় দিন। সেটা হতে পারে আবারো রাজনীতি, পড়ালেখা, ব্যবসায় অথবা অন্যকিছুতে। নিজেকে তুচ্ছ না ভেবে কাজে লেগে পড়ুন। দিন শেষে পরিবার আর আপনি নিজে এছাড়া আর কেউ থাকবে না। মনে রাখবেন, রাজনীতির মাঠে কেউ আপন না, যদি আপনি নিজেকে আপন না করতে পারেন।”