ফের ঢাবি ক্যাম্পাসছাড়া ছাত্রদল বছর শেষে কঠিন চ্যালেঞ্জে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৩০ AM , আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:১৪ AM
২৭ বছর পর কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ছাত্রদেলের সভাপতি হিসেবে ফজলুর রহমান খোকন ও ইকবাল হোসেন শ্যামল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর পূর্ণাঙ্গ হয় কমিটি। ২০২১ সালে কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। ওই কমিটি বিলুপ্ত করার পর গত বছরের ১৭ এপ্রিল বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সভাপতি হন কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবন, আর সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ জুয়েল।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দায়িত্ব নিয়ে ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। পরে সেপ্টেম্বরে ৩০২ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ঘোষণার সময়ও ছাত্র রাজনীতির প্রাণ কেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের উপস্থিতি ছিল। নিয়মিত মিছিল-সমাবেশ, আড্ডায় প্রাণবন্ত থাকতেন নেতাকর্মীরা। তবে শ্রাবণ-জুয়েল কমিটির সেই ‘সুসময়’ বেশিদিন থাকেনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনসহ নানা ইস্যুতে দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাসে ফিরেছিল ছাত্রদল। তবে গত মে মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এরপর থেকে ছাত্রদল ফের ক্যাম্পাসছাড়া। একাধিকবার ফিরতে চাইলেও পারেনি।
বিদায়ী বছরের ১১ সেপ্টেম্বর খোরশেদ আলমকে সভাপতি ও আরিফুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটি হয়। বিএনিপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পরে ২৭ সেপ্টেম্বর উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করার কথা ছিল ছাত্রদলের। একইদিন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতের ঘোষণা দেয়। ফলে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়ায়। প্রত্যেকটি আবাসিক হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পরদিন সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে মহড়া দিতে নির্দশনা দেয়া হয়।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে করা এক মন্তব্যের প্রতিবাদে ২৪ মে (মঙ্গলবার) ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে ছাত্রদল। ওই কর্মসূচিতে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার আবারও বিক্ষোভের ডাক দেয় ছাত্রদল। বেলা ১১টার দিকে হাইকোর্ট এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের দিকে আসার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ বাঁধা দিলে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ তোলে ছাত্রলীগ। যে বক্তব্যকে ভিত্তি করে এ অভিযোগ সে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে সংবাদ সম্মেলন করার জন্য করতে ছাত্রদল ঢাকা মেডিক্যালের ইমার্জেন্সি গেট থেকে ক্যাম্পাসের দিকে আসার চেষ্টা চালায়। সেদিন শহীদ মিনারে সামনে এলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা রামধা, ক্রিজ, হকি স্টিক, রড নিয়ে ছাত্রদলের ওপর অতর্কিত হামলা করেন।
গত ২৬ মে বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করে ছাত্রদল। তখন তাদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করলে শুরু হয় সংঘর্ষ। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে এক সাংবাদিকের ওপর হামলা করে মোবাইল ছিনতাই করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আহত ওই সাংবাদিকের নাম আবির আহমেদ। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের নিজস্ব প্রতিবেদক (মাল্টিমিডিয়া) ছিলেন।
৩০ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে আবারও ছাত্রদলের কর্মীকে পেটায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এ ঘটনা ঘটে। ঢাকা কলেজের ১৯-২০ সেশনের ছাত্রদল কর্মী ইরফান শিকদারের ওপর এ হামলা করেন ঢাবির এফ রহমান হল ছাত্রলীগ সভাপতি রিয়াজুল ইসলামের নেতাকর্মীরা। ঢাবির ছাত্রদলের এক নেতার সঙ্গে টিএসসিতে গেলে এ ঘটনাটি ঘটে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও ভাংচুর করা হয়।
ঢাবির কমিটি ঘোষণার পরে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে গেলে হামলার শিকার হন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ১০ নেতাকর্মী আহত হয় বলে জানায় ছাত্রদল। ছাত্রদলের অভিযোগ ছিল, উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তবে ঢাবি ছাত্রলীগের তখনকার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এটিকে ছাত্রদলের অন্তর্দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি করেন।
এদিকে দীর্ঘ ১৯ বছর পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে স্থান পান ২৮৩ নেতা-কর্মী। গত ২৮ আগস্ট (শুক্রবার) ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে ৩০ জুন আসাদুজ্জামান আসলামকে সভাপতি ও সুজন মোল্লাকে সাধারণ সম্পাদক করে ছয় বছর পর জবি ছাত্রদলের কমিটি হয়।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পান গুম হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের তিন কর্মী আসাদুজ্জামান রানা, মাজাহারুল ইসলাম রাসেল ও আল-আমিন। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তারা সহ-সভাপতি হিসাবে মনোনীত হয়েছেন। ২০০৩ সালে সর্বশেষ ৮১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়।
দেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় নতুন কমিটি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। গত ১৪ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কমিটি নয়টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আংশিক কমিটির অনুমোদন দিয়েছিল। এর মধ্যে ছিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া আরও রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
আরো পড়ুন: কেউ চাকরি না পেয়ে হতাশ, কেউ আত্মহত্যার পরে পেয়েছেন চাকরির খবর
ঢাবি, জবি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের এমন ডামাডোলের মধ্যে একাধিক নেতাকে হারিয়েছে সংগঠনটি। পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় নয়ন মিয়া (২২) নামের এক ছাত্রদল নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। গত ১৯ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের মোল্লা বাড়ির সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত নয়ন উপজেলার চরশিবপুর এলাকার রহমত উল্লাহর ছেলে। তিনি উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ছিলেন।
এ ছাড়া পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিতে আহত ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম প্রাণ হারান। বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গ্যাস, বিদ্যুতসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে গত ৩১ জুলাই বেলা ১১টায় ভোলা জেলা বিএনপি প্রতিবাদ সমাবেশ এবং বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে। শহরের কালীনাথ রায়ের বাজার এলাকায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সমাবেশ শেষে মিছিল করতে রাস্তায় নামে দলীয় নেতাকর্মীরা।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে তাদের। সংঘর্ষে পুলিশকে লক্ষ করে ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩০ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ১৬৫ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। এতে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হলে তাদের ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের হারেছ মাতব্বরের ছেলে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আব্দুর রহিম মারা যান।
মাথায় গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমকে ভোলা হাসপাতাল থেকে প্রথমে বরিশাল সেবাচিমে পাঠানো হয়। সেখানকার ডাক্তাররা ব্যর্থ হয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক ঢাকায় পাঠান। তিনদিন হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত ৩ আগস্ট বুধবার বেলা ৩টার কিছুক্ষণ পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে নিশ্চিত করেন ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আসিফ আলতাফ।
এরইমধ্যে ‘ডিপফেক এডিট টেকনোলজি’ ব্যবহার করে ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের চরিত্রহনণের অপচেষ্টা চলে বলে অভিযোগ তোলে সংগঠনটি। ওই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভিডিও তৈরি করে ভাইরাল করা হয়েছে এতে জানানো হয়েছে। ফেসবুকে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল গত ২৪ আগস্ট রাতে এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ তোলেন কথা বলেন। জুয়েল বলেন, ছাত্রদলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, এ ধরনের সভ্যতা বিবর্জিত হীন ও ঘৃণ্য অপচেষ্টার মাধ্যমে লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করা যাবে না। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের আইকন কাজী রওনুকুল ইসলাম শ্রাবণ রাজপথের পরীক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত ছাত্রনেতা।
বিএনপির বিভাগীয় গণসামাবেশ ঘিরেও বছরের শেষ কয়েক মাস সক্রিয় ছিল ছাত্রদল। এ সময় বিভিন্ন স্থানে হামলা ও গ্রেপ্তারের শিকার হয়েছেন নেতাকর্মীরা। গত ২৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। জুয়েলকে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের ভেতরে নিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এ ঘটনায় ছাত্রদলের ১০জন নেতা আহত হন বলে দাবি করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আরো পড়ুন: রাজনৈতিক উত্তাপে শুরু, ছাত্রলীগের অন্তর্কোন্দল আর নিয়োগ বিতর্কে বছর শেষ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রদলের নিহত নেতা নয়নের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ছাত্রদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অনেক নেতা। তারা ফেরার পথে আড়াইহাজার বাজারে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে হামলার শিকার হন।
গত ৫ ডিসেম্বর নাশকতার মামলায় বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতিসহ দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পৌর শহরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, চলতি বছর পুলিশের করা নাশকতা মামলায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফয়জুল মালেক সজিব ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন প্রিন্সকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ২১ ডিসেম্বর বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুল আলম মিঠুকে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ। দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানায়। বিস্ফোরক আইনে ঢাকার পল্টন থানায় দায়ের হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এমন কঠিন সময়ের মধ্যেও ছাত্রলীগের নতুন কমিটিকে শুভেচ্ছা জানাতেও ভোলেনি ছাত্রদল। ছাত্রলীগের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাদ্দাম হোসেনকে সভাপতি ও শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। গত ২০ ডিসেম্বর কেন্দ্র ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতাদের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ কমিটিগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও ব্যক্তিগতভাবে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ।
ছাত্রদলের সভাপতি শ্রাবণ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ছাত্র রাজনীতির ঐতিহ্য ছিল কমিটি হলে অভিনন্দন জানানো এবং মধুর কেন্টিনে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো। প্রায় ১৪ বছর ছাত্র সংগঠনগুলো এর থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহাবস্থান থাকলে অবশ্যই নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানানো হতো। ছাত্রলীগেরও ছাত্রদলকে শুভেচ্ছা জানাতে হবে। দু’পক্ষ থেকেই আসা উচিত। তারপরও বর্তমান নেতৃত্বকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।