ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির আইনে ভর্তি হলেন পাখি, বললেন— ‘জজ হব’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২২, ০৭:১৪ PM , আপডেট: ২৩ জুন ২০২২, ০৫:২১ PM
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে ভর্তি হয়েছেন এক তরুণকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বিয়ের ঘটনায় আলোচনায় আসা ইশরাত জাহান পাখি। সোমবার (১৩ জুন) তিনি ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের সান্ধ্যকালীন কোর্সের ৬০তম ব্যাচে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তিতে পাখি বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে প্রায় ২ লাখ টাকার স্কলারশিপ পেয়েছেন।
পাখি বলেন, আমার বিচারক হওয়ার স্বপ্ন। নিজের কাজে যখন বেশ কিছুবার আদালতে যেতে হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার বিষয়টি অনেক চ্যালেঞ্জিং। আমার মত যারা ভুক্তভোগী হবে, আমি বিচারক হয়ে তাদের ফ্রিতে সেবা দেব। বাকি জীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই।
পাখি এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বাঙলা কলেজ থেকে বিজ্ঞানের একটি বিভাগ থেকে ডিগ্রি কোর্স সম্পন্ন করেছেন। তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকেও বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেছেন।
গত বছরের ৩ অক্টোবর নাজমুল আকন নামে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের এক ছাত্রকে অপহরণ করে জোরপূর্বক বিয়ে করার অভিযোগ তুলে পাখির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। তবে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বিয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পাখি। এ ঘটনায় সেসময় দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে পাখিও তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: কলেজছাত্রকে তুলে নিয়ে বিয়ের ঘটনায় মামলা
পাখি সেময় বলেছিলেন, নাজমুলকে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করার যে বিষয়টি প্রচার হচ্ছে, বিষয়টি আসলে মোটেও সেরকম কিছু নয়। সে স্বেচ্ছায় বিয়ে স্বাক্ষর করেছে। আর ভিডিওতে ঘাড় ধরার যে বিষয়টি দেখা যাচ্ছে, সেটি হলো কাবিন কম দেওয়ার কথা বলায় হয়েছে। তাকে মিষ্টি খাওয়াতে গেলে সে ভিডিও করতেছে দেখে না খেয়ে সেটি ফেলে দেয়।
কলেজছাত্র নাজমুল আকন জেলার মির্জাপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের জালাল আকনের ছেলে। আর তরুণী ইশরাত জাহান পাখি একই উপজেলার গাজিপুর গ্রামের মো. আউয়াল মিয়ার মেয়ে।
আরও পড়ুন: কলেজছাত্রকে ‘জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বিয়ে’ করা পাখির বিচ্ছেদ
এদিকে, গত ১৪ মার্চ পটুয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আইনজীবী এনামুল হকে চেম্বারে উভয় পক্ষের আপোষ-মীমাংসার ভিত্তিতে নাজমুল আকন ও ইশরাত জাহান পাখির বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে পাখি বলেন, নাজমুলকে বিশ্বাস করে আমি সব হারিয়েছি। আর পেছনে ফিরে তাকাতে চাই না। শুধু সামনে এগিয়ে যেতে চাই। পড়াশোনা করবো, আর নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে যাবো। আমি দিনে বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করি। এজন্য সান্ধ্যকালীন কোর্সে ভর্তি হয়েছি। দিনে কাজ করবো, রাতে পড়ালেখা করবো।