ফিফা কেন ভারতকে নিষেধাজ্ঞা দিল? মুক্তি যেভাবে

ফুটবলীয় কার্যক্রমে তৃতীয়পক্ষের প্রভাব খাটানোর অভিযোগে ভারতকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা
ফুটবলীয় কার্যক্রমে তৃতীয়পক্ষের প্রভাব খাটানোর অভিযোগে ভারতকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা  © সংগৃহীত

ফুটবলীয় কার্যক্রমে তৃতীয়পক্ষের প্রভাব খাটানোর অভিযোগে ভারতকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে শীর্ষ ফুটবল সংস্থা (ফিফা)। নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতের সব জাতীয় এবং বয়সভিত্তিক দল ও ক্লাবগুলো ফিফা অনুমোদিত কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে না। 

ভারতকে দীর্ঘ সময় ধরে সতর্ক করে আসছিল ফিফা। তৃতীয় পক্ষকে হটিয়ে নির্বাচিত প্রশাসকদের হাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশটির ফুটবলের দায়িত্বভার তুলে দিতে সংশ্লিষ্টদের চাপ দিচ্ছিল তারা। তবে সেই লক্ষ্যে এখনো কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে না পারায় অবশেষে দেশটিকে নিষিদ্ধ করল ফিফা।

মেয়াদ ফুরিয়ে যাবার পরও অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) সাবেক সভাপতি প্রফুল প্যাটেলের গদি দখল করে থাকা নিয়েই মূলত ভারতীয় ফুটবলে সংকটের শুরু। প্রফুল প্যাটেল বেআইনিভাবে ফেডারেশনের শীর্ষ পদ দখলে রেখেছেন এই অভিযোগে মামলা হলে ভারতীয় ফুটবলে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

চলতি বছরের মে মাসে দেশটির শীর্ষ আদালত ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটিকে ভেঙে দিয়ে ভারতীয় ফুটবলের দায়িত্ব দেয় তিন সদস্যের কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সকে (সিওএ)। এছাড়া যত দ্রুত সম্ভব ফেডারেশনের পরবর্তী নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশও দেন আদালত।

আরও পড়ুন: ভারতকে নিষিদ্ধ করল ফিফা

কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (সিওএ) দায়িত্ব নেওয়ার পরও ফেডারেশন থেকে প্রফুল প্যাটেলের ভূত তাড়াতে পারেনি। সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরও পর্দার আড়াল থেকে ফেডারেশনের কাজকর্মে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলাও করে বসে সিওএ। সব মিলিয়ে ঘোর সংকটের অতলে তলিয়ে যেতে থাকে ভারতীয় ফুটবল।

চলমান অচলাবস্থা দ্রুত নিরসনে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগী হতে ফিফার এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরী হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতীয় ফুটবলের উত্থান ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। আগামী অক্টোবরে ভারতে অনূর্ধ্ব -১৭ নারী বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ফিফা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে ফেডারেশনের প্রশাসনিক সংকট দূর করতে ব্যর্থ হলে ভারত থেকে সরে যাবে এই বিশ্ব আসর।

ফিফার আইন অনুযায়ী, সদস্য ফেডারেশনগুলোকে তাদের নিজ নিজ দেশে আইনি ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত থাকতে হবে।

মুক্তি যেভাবে

ফিফার বিবৃতিতে এই নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তির পথও বাতলে দিয়েছে সংস্থাটি। ফিফা জানিয়েছে, এআইএফএফের দৈনন্দিন কার্যক্রমের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটির প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে আনতে একটি প্রশাসনিক কমিটি গঠন করতে হবে। এআইএফএফের বর্তমান নির্বাহী কমিটির সব ক্ষমতা সেই প্রশাসনিক কমিটিকে দিতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ