‘সিলেটি’ শব্দ শেখার চেষ্টায় মঈন আলি

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ইংলিশ ক্রিকেটার মঈন আলি, তার স্ত্রী ফিরোজা হোসেন ও কোলে সন্তান।
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ইংলিশ ক্রিকেটার মঈন আলি, তার স্ত্রী ফিরোজা হোসেন ও কোলে সন্তান।  © সংগৃহীত

ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের ক্রিকেটার মঈন আলি। বিয়ে করেছেন সিলেটি কন্যা ফিরোজা হোসেনকে।তার স্ত্রী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক। এর আগে কয়েকবার বাংলাদেশে এসে খেললেও কখনো সিলেটে যাওয়া হয়নি তার। এবারই প্রথম শ্বশুরবাড়ি এলাকায় গেলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই ইংলিশ ক্রিকেটার। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার সঙ্গে সিলেটি ভাষায় কথা বলছেন। এমন বেকায়দায় পড়ে তাই সিলেটি ভাষা শেখার চেষ্টা করছেন তিনি।

আরও পড়ুন: দেড়শো বছরের সাজার মুখোমুখি সুচি

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মঈন আলির জন্ম ও বেড়ে উঠা যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে হলেও যাকে বিয়ে করেছেন সেই ফিরোজা হোসনের শেকড় এই সিলেটে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশেই অবস্থিত পীর মহল্লাতে এক সময় বসবাস করতেন মঈনের শ্বশুর এম হোসেন। পরে তিনি যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। সেখানেই জন্মান মঈনের স্ত্রী ফিরোজা হোসেন। যুক্তরাজ্যে বেড়ে উঠা ফিরোজা পরে মঈনকে বিয়ে করেন। আবু বকর ও হাদিয়া নামে তাদের দুটি দুটি সন্তান আছে।

জাতীয় দলের হয়ে এবং বিপিএল খেলতে এর আগেও বাংলাদেশে এসেছেন মঈন আলি। তবে এবারই প্রথম সিলেটে আসা। স্ত্রীর কল্যাণে সিলেটের কিছু কিছু ভাষাও বলতে পারেন তিনি। এই তারকা অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমি সিলেটি ভাষা কিছু পারি, আরও শিখতে চাই। আমি আরও শিখতে চেষ্টা করবো। সত্যি বলতে, আরও বেশি জানতে পারলে ভালো লাগত। কারণ, হোটেলে যারা আছে তারাও সিলেটি ভাষায় কথা বলে।’ 

আরও পড়ুন: মাস্ক শিথিলের আদেশ জারির পর গভর্নরের বিরুদ্ধে মামলা

সিলেটে পৌঁছে মঈন আলি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ আমার বাড়ি, পাকিস্তান আমার বাড়ি, ইংল্যান্ডও আমার বাড়ি। আমি সিলেটে প্রথমবার, তারা আমাকে সবসময় আসতে বললেও আমার আসা হয় নি। আমি এখানে এসে খুব খুশি।’

উল্লেখ্য, মঈন আলির শ্বশুর বাড়ি থেকে সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দূরত্ব মাত্র আধা কিলোমিটার পায়ে হাঁটার পথ। প্রথমবারের মত তিনি সিলেট শহরে এলেন। এছাড়া তার সঙ্গে এসেছেন স্ত্রীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিনিও শ্বশুর বাড়ি এসে সিলেটি আঞ্চলিক ভাষার শব্দ শেখার চেষ্টা করছেন।


সর্বশেষ সংবাদ