তালেবান সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব রশিদ-নবীরা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫১ PM , আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫১ PM
২০২১ সালের অগাস্টে তালেবানরা ক্ষমতায় ফেরার পর নারীদের শিক্ষা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে আফগানিস্তানে। নারীদের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়েছে অনেক আগেই। সমাজ ও রাষ্ট্রের নানা ক্ষেত্রেও নারীদের অংশগ্রহণ একদম সীমিত করা হয়েছে। সম্প্রতি মেয়েদের নার্সিং ও ধাত্রীবিদ্যা প্রশিক্ষণের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছে সেখানের সরকার। তালেবান সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন তারকা ক্রিকেটার রশিদ-নবীরা। নারী শিক্ষার দুয়ার খুলে দিতে তাগিদ দিয়েছেন তারা।
শুধু শিক্ষা নয়, খেলাধুলায় নারীদের অংশগ্রহণ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে আফগানিস্তানে। তাতে থমকে গেছে আফগানিস্তান নারী ক্রিকেট দল গঠনের প্রক্রিয়াও। যদিও টেস্ট মর্যাদা পাওয়া ও আইসিসির রাজস্বের ভাগ পাওয়ার একটি শর্ত নারী ক্রিকেট কার্যক্রম চালু থাকা। কেবল মেডিকেল বিভাগেই কিছুটা ছাড় দিয়ে নারী শিক্ষার কিছু কার্যক্রম চালু আছে। সেখানেও এবার একটি দুয়ার বন্ধ করা হয়েছে এই নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইভস ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বন্ধ করে।
তালেবান সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে দুঃখ ও হতাশা প্রকাশ করেন আফগান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা রাশিদ। শুধু মেডিকেল শিক্ষাই নয়, নারীদের শিক্ষার সব দুয়ার খুলে দিয়ে জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে রশিদ গত রাতে লিখেছেন, ‘ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব অনেক ওপরে। নারী-পুরুষের জ্ঞান অন্বেষণের ব্যাপারকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পবিত্র কোরআনেও।সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানে মা-বোনদের জন্য শিক্ষা ও চিকিৎসার প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করা হয়েছে দেখে খুবই খারাপ লাগছে।’
আফগান তারকা লেগস্পিনার আরও বলেন,‘আমাদের ভালোবাসার মাতৃভূমি আফগানিস্তান সংকটময় অবস্থায় রয়েছে এখন। দেশের প্রতিটি খাতে পেশাদার মানুষ খুবই প্রয়োজন। বিশেষ করে চিকিৎসা খাতে। নারী চিকিৎসক ও নার্সদের তীব্র সংকট ভীষণ দুশ্চিন্তার বিষয়। চিকিৎসায় পেশাদারেরা, যারা সত্যিকার অর্থে তাদের প্রয়োজনটা বোঝেন, আমাদের মা-বোনদের ব্যাপারটি দেখা প্রয়োজন তাদের। সিদ্ধান্তটি তাই পুনরায় বিবেচনা করার অনুরোধ করছি। আফগান নারীরা তাতে শিক্ষার অধিকার ফিরে পাবে এবং জাতির উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে। সবার শিক্ষার অধিকার শুধুই সামাজিক দায়িত্ব নয়। এটা নৈতিক বাধ্যবাধকতা যেটা আমাদের বিশ্বাস ও মূল্যবোধের সঙ্গে সম্পর্কিত।’
রশিদের সুরে কথা বলছেন নবীও। নিজের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে নবী লিখেছেন, ‘চিকিৎসা ক্ষেত্রে মেয়েদের লেখাপড়া নিষিদ্ধ করা শুধু হৃদয়বিদারকই নয়। মারাত্মক অবিচারও। ইসলাম সব সময়ই সবার শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়েছে।ইতিহাসেও অসংখ্য অনুপ্রেরণামূলক উদাহরণ আছে, যেখানে নারীরা জ্ঞানের মাধ্যমে অনেক প্রজন্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।’