২২ বছরে প্রথমবার ব্যালন ডি’অরে নেই মেসি-রোনালদো

মেসি-রোনালদো
মেসি-রোনালদো  © সংগৃহীত

ফুটবলের সর্বোচ্চ মর্যাদার পুরস্কার ব্যালন ডি’অর। তবে এটি কার হাতে উঠছে তা দেখার জন্য সারা বিশ্বের ক্রীড়াপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকে। ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের আয়োজক ফ্রান্স ফুটবল ২০২৪ সালের জন্য ব্যালন ডি’অর প্রত্যাশী ৩০ জনের নাম প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় নেই লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরা। ২২ বছর পর দুজনের মধ্যে মনোনীত সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা হয়নি কারও। এর মধ্য দিয়ে একটি অধ্যায়েরও যেন অবসান হলো।

ব্যালন ডি’অর বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত পুরস্কার। প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে থাকে ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকী। ব্যালন ডি’অর রেকর্ড আটবার নিজের ঝুলিতে পুরেছেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তারপরেই রয়েছেন পর্তুগিজ অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। জেতন ৫ বার।

 ইউরোপীয় ফুটবলের পাট চুকিয়ে দুজন পাড়ি জমিয়েছেন ভিন্ন মহাদেশে। আগামী বছরগুলোতে তাঁদের ব্যালন ডি’অরে বর্ষসেরা হওয়ার সম্ভাবনা খুব একটা নেই বলেই মনে করেন অধিকাংশ ফুটবল বিশ্লেষক। প্যারিসের থিয়েটার দু শাতেলেতে আগামী ২৮ অক্টোবর ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দেওয়া হবে।

এ বছরের পুরস্কারের জন্য ফেবারিট মনে করা হচ্ছে ভিনিসিউস জুনিয়র ও জুদ বেলিংহ্যামকে। প্রত্যাশিতভাবেই ৩০ জনের তালিকায় নাম রয়েছে তাদের। এ তালিকায় উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে আরও আছেন ফেদেরিকো ভালভার্দে, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, আরলিং হল্যান্ড, টনি ক্রুস, লামিন ইয়ামাল, হ্যারি কেন, দানি কারভাহাল, কিলিয়ান এমবাপ্পেরা।

ভিনিসিউস, জুদ বেলিংহ্যাম, টনি ক্রুসরা গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। এরপর স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপাও ঘরে তুলেছেন তারা। ভিনি ব্রাজিলের হয়ে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত খেলেন, বেলিংহ্যামের ইংল্যান্ড হয় ইউরোর রানার্সআপ। ইউরোর শিরোপা জিতে কারভাহালের স্পেন। গত মৌসুমে ভিনি ২৪ গোল ও ১১টি অ্যাসিস্ট করেন ক্লাবের হয়ে, বেলিংহ্যামের ক্ষেত্রে সংখ্যা দুটি ২৩ ও ১৩।

এ বছর আর্জেন্টিনাকে কোপা আমেরিকা জিতিয়েছেন লিওনেল মেসি। যে কারণে ব্যালন ডি’অর তালিকায় তার নাম প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। কিন্তু শেষমেষ বাদ পড়লেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এর মাধ্যমে প্রায় দুই দশক পর ছেদ পড়ল মেসি-রোনালদো যুগলের রাজত্বে। রোনালদো গত বছরই ৩০ জনের তালিকা থেকে বাদ পড়েছিলেন। ২০০৩ সাল থেকে মাঝের প্রত্যেকটি বছর দুজনের কেউ না কেউ ৩০ জনের তালিকায় জায়গা করে নিতেন।

৩০ ফুটবলারের সংক্ষিপ্ত তালিকা
জুদ বেলিংহ্যাম, হাকান কালহানগ্লু, দানি কারভাহাল, রুবেন দিয়াজ, আরটেম ডভবিক, ফিল ফোডেন, আলেহান্দ্রো গ্রিমালদো, আরলিং হল্যান্ড, ম্যাট হামেলস, হ্যারি কেন, টনি ক্রুস, আদেমোলা লুকমান, এমি মার্টিনেজ, লতারো মার্টিনেজ, কিলিয়ান এমবাপ্পে, মার্টিন ওডেগার্ড, দানি ওলমো, কোল পালমার, ডেকলাইন রাইস, রদ্রি, অ্যান্তোনিও রুডিগার, বুকায়ো সাকা, উইলিয়াম সালিবা, ফেদেরিকো ভালভার্দে, ভিনিসিউস জুনিয়র, ভিতিনহা, নিকো উইলিয়ামস, ফ্লোরিয়ান উইর্টজ, গ্রানিত জাকা ও লামিন ইয়ামাল।

সেরা গোলরক্ষকের জন্য মনোনীত হয়েছেন ১০ জন। তারা হলেন- দিয়েগো কস্তা, জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা, গ্রেগর কোবেল, আন্দ্রে লুনিন, মাইক মাইগনান, জর্জি মামারডাকভিলি, এমি মার্টিনেজ, উনাই সিমন, ইয়ান সোমের ও রনওয়েন উইলিয়ামস।


সর্বশেষ সংবাদ