চলতি বছরই আরেকবার ভারতকে কাঁদিয়েছিলেন হেড
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫৪ AM , আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ PM
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ৬ষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের দিনে অজিদের নায়ক ট্রাভিস হেড। টানা ১০ ম্যাচ জয়ী অপ্রতিরোধ্য ভারতীয় দল আর কোটি ভক্তের আনন্দকে স্তব্ধ করে বিশ্বকাপ ফাইনাল শেষে কাঁদিয়ে ছেড়েছে হেডের অনবদ্য ইনিংসটি।
বিশ্বকাপের ফাইনালে যখন ২৪০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে মোহাম্মদ শামি এবং বুমরাহদের তোপের মুখে একের পর এক উইকেট হারাচ্ছিলো অজিরা, তখন অন্যপাশে অবিচল আস্থার সঙ্গে ব্যাট করে ১৩৭ রানের অভাবনীয় এক ইনিংস খেলে দলকে এনে দিলেন বিশ্বজয়ের খেতাব।
চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালেই বড় আসরে ভারতকে কাঁদানো ট্রাভিস হেডের কাছে এটাই প্রথম নয়। তার কারণে গত ৬ মাস আগেও কপাল পুড়েছে ভারতের ক্রিকেট ভক্তদের। চলতি বছর ওভালে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এই অস্ট্রেলিয়ার কাছেই যে হেরে গিয়েছিল ভারত। ইংল্যান্ডের ওভালের পর এবার ভারতের আহমেদাবাদ, ভারতবধের নায়ক সেই হেড।
আরও পড়ুন: ভারতকে কাঁদিয়ে ৬ষ্ঠ বিশ্বকাপ জয় অস্ট্রেলিয়ার
ওভালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ওই ফাইনালেও শুরুতেই অজিদের চাপে ফেলে দিয়েছিল ভারত। ৭৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল তারা। সেখান থেকেই শুরু হয় হেডের প্রতিরোধ। স্টিভেন স্মিথকে নিয়ে গড়েন ২৯৫ রানের অনবদ্য জুটি। সাজঘরে যখন ফিরছেন তখন তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ১৬৩ রান। শেষপর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস যায় ৪৬৯ পর্যন্ত। যেখান থেকেই ম্যাচ জয়ের ভিত পেয়ে যায় তারা। আর এতে বড় রকমের অবদান ছিল ট্রাভিস হেডের।
এবারের বিশ্বকাপের ফাইনালেও বাজিমাত করেছিলেন সেই হেডই। বিশ্বকাপের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে চোট পান বাঁহাতি ওপেনার ট্রাভিস হেড। স্ক্যানে চিড় ধরা পড়ে তার। এরপরেও তাকে দলে রাখা হয়েছিল। আর সেটার প্রতিদানও উজাড় করে দিয়েছেন এই অজি ব্যাটার।
প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে নিজেকে ভালোভাবেই মেলে ধরেছিলেন। সেমিফাইনালেও হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। ফাইনালেও খেললেন মহাকাব্যিক এক ইনিংস। অথচ পঞ্চাশ পেরুনোর আগেই দলের তিন উইকেটের পতন বাড়তি চাপ ফেলেছিল তার উপর। সেখান থেকে লাবুশেনকে সঙ্গে নিয়ে ভারতের মনোবল ভেঙে দেওয়ার কাজটিই করেন তিনি। ১২০ বলে ১৩৭ রানের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন ১৫টি চার ও চারটি ছক্কার মাধ্যমে। অজিদের হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের তালিকায়ও স্মরণীয় হয়ে থাকবে তার এই ইনিংসটি।