এক মাচ হাতে রেখেই আফগানদের সিরিজ জয়
- টিডিসি স্পোর্টস
- প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৩, ০৯:২৫ AM , আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১১:২১ AM
বৃষ্টি আইনে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করল আফগানিস্তান। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩৩২ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রশিদ-নবিদের কাছে পাত্তাই পেল না লিটন দাসের দল। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে নিয়েছে আফগানরা।
শনিবার (৮ জুলাই) সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ে যায়নি বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের আমন্ত্রণে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৩২ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে সফরকারীরা। পরে ৩৩২ রানের টার্গেটে নেমে ৪৩ ওভার ২ বল খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান করে বাংলাদেশ। বোলিংয়ে চোট পাওয়ায় এবাদত নামেননি ব্যাটিংয়ে।
বেটিংয়ের শুরু থেকেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ফজল হক ফারুকীর করা প্রথম ওভার মেডেন দেন দলে ফেরা নাঈম শেখ। এই ব্যাটার ২১ বলে ৯ রান করে ফারুকীর বলেই বোল্ড হন। এর আগে আউট হয়ে যান লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৫ বলে ১৩ রান করেন লিটন আর ৫ বলে এক রান করে আউট হন শান্ত।
২৫ রানে তিন উইকেট হারানো দলকে ৪০ রানের জুটিতে কক্ষপথে ফেরানোর চেষ্টা করেন তাওহীদ হৃদয় ও সাকিব আল হাসান। কিন্তু কেউই নিজেদের ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ৩৪ বলে ১৬ রান করে রশিদ খানের বলে বোল্ড হয়ে হৃদয় ও ২৯ বলে ২৫ রান করে আউট হয়ে যান সাকিব।
দুই সিরিজ বাদে দলে ফেরা আফিফ হোসেন প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয়টিতেও ব্যর্থ হন। নিজের খেলা প্রথম বলেই রশিদের ওভারে নবীর হাতে ক্যাচ দেন।
আরো পড়ুনঃ হারের দায় বোলারদের উপর চাপালেন লিটন
এরপর সপ্তম উইকেট জুটিতে মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহিমের ৮৭ রানের জুটি কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। ৪৮ বলে ২৫ রান করে মুজিবের বলে মিরাজ ক্যাচ দিলে ভাঙে এই জুটি। ফারুকীর বলে নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৮৫ বলে ৬৯ রান করেন মুশফিক।
আফগানিস্তানের ফজলহক ফারুকি আর মুজিব উর রহমান নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। ২টি উইকেট শিকার রশিদ খানের।
চট্টগ্রামে প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিংয়ে গিয়ে সুবিধা করতে পারেনি টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে সফরকারীদের চাপের মুখে ফেলতে টসে জিতেও বল হাতে তুলে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস।

আগে ব্যাটিংয়ে গিয়ে ইব্রাহিম জাদরান আর রহমানুল্লাহ গুরবাজ রীতিমত ঘাম ঝরান স্বাগতিকদের। ওপেনিং জুটির জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৯ উইকেটে ৩৩১ রানের পাহাড় গড়ে আফগানরা। ইনিংসের ৩৭তম ওভারে ২৫৬ রানে সেঞ্চুরিয়ান গুরবাজকে এলবিডব্লিউ করে সাকিব প্রথম জুটি ভাঙেন।
আউট হওয়ার আগে নিজের ক্যারিয়ারের সেরা এই ইনিংসে গুরবাজ ১২৫ বলে তার ১৪৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। ১৩ চার আর ৮টি ছক্কার মারে তিনি ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি এবং এক ইনিংসের সর্বোচ্চ রান করেন।
পরের ওভারে প্রথম বলেই লেগ বাউন্ডারিতে মোস্তাফিজুর রহমানের ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন রহমত শাহ। ৩৯ তম ওভারে আফগান অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহিদিকে মেহেদি হাসান মিরাজ বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন।
১৫ বল খেলে ১০ রান করে মিরাজের ওভারে লংঅনে লিটনকে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন নাজিবুল্লাহ জাদরান। ১১৯ বলে ৯ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ১০০ করে আউট হন ইব্রাহিম জাদরান। রশিদ খান ৬ রান করে সাকিবের বলে এগিয়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হন। এরপর শেষের ব্যাটারদের আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেননি মোস্তাফিজ-হাসান মাহমুদরা।
মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, সাকিব আল হাসান আর মেহেদি হাসান মিরাজ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ।